আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁওপ্রতিনিধি:
ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বিমান এজেন্সি মালিকেরা।
এজেন্সি মালিকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
চলতি বছরে লকডাউন চলাকালীন সময় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ এজেন্সি তাদের ওয়েব সাইটে কক্সবাজার ছাড়া প্রতিটি রুটে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একাধিক ফ্লাইটে টিকিট কর্তনে অনলাইনে সুবিধা দেয়।কিন্তু টিকিট কর্তনের পর যাত্রীরা নিজেই ওয়েব সাইট থেকে অথবা সংশ্লিষ্ট এজেন্সি থেকে টিকিট কর্তন করেন।
পরবর্তীতে লকডাউন বেড়ে যাওয়ার কারণে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ কিছু ফ্লাইটের যাত্রী বাতিল করলেও টিকিটের কর্তনকৃত টাকা ফেরত দেননি।
টাকা ফেরত না পেয়ে যাত্রী ও এজেন্সী মালিকরা পড়ে বিপাকে।
এই সমস্যা নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের এজেন্সী মালিকেরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা প্রতি টিকিটে অর্ধেকের বেশি টাকা কর্তন করে বাকি টাকা ফেরত দেন।
অন্যদিকে অনেক যাত্রী নিজেই ওয়েব সাইট থেকে টিকিট কর্তন করে। পরে ফ্লাইট বাতিল হলেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়টি না জানালে সময়মত কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারেন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন এজেন্সি মালিক সহ ভুক্তভোগী যাত্রীরা। টিকিট কর্তনের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে এখন সকলে রয়েছেন বিপাকে।
এসময় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামে এজেন্সি থেকে ৪জন যাত্রী ইউএস বাংলা এয়ারের টিকিট কাটেন। পরবর্তী লকডাউনের কারণে ওই বিমানটির যাত্রা বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ। এতে এজেন্সি মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া যাত্রীদের চাপে তাৎক্ষণিক ভাবে সম্পুর্ন টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
পরবর্তীতে এজেন্সির মালিক সম্পুর্ন টাকা ফেরত চেয়ে মেইল পাঠান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এজেন্সির কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৭৫০ টাকা করে ৭ হাজার টাকা কেটে নেন।
এ বিষয়ে ইউএস বাংলা এয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তারা এজেন্সির বাকি টাকা ফেরত দেয়নি ও বিষয়টি আমলে নেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ইউএস বাংলার সৈয়দপুর সিটি অফিসের এক্সকিউটিভ এমএসডি তাকবীর আল জোহা জানায়,
এজেন্সি তার পোর্টালে রিফান্ড করতে ভুল করছেন। তাই টাকা কর্তন হয়েছে। তারপরও ঢাকা অফিসে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হয় তারা টাকা ফেরত দেননি। আমার এখানে করণীয় কিছুই নেই! ভূলের কারণে টাকা কর্তন হয়েছে যা এজেন্সি মালিকদের মেনে নিতেই হবে।
রাণীশংকৈল ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া জানান- নভো বা অন্যান্য বিমান কর্তৃপক্ষ এধরনে টাকা কর্তনের নজির না থাকলেও কৌশলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ টাকা কর্তন করছেন।
এতে যাত্রী সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি এজেন্সি মালিকরাও গভীর ভাবে ক্ষুদ্ধ। অবিলম্বে কর্তনকতৃ টাকা ফেরতের দাবি করেন তিনি বলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের সকল এজেন্সির পাশে থেকে সহযোগীতা মূলক মনোভাব নিয়ে ব্যবসা করলেই ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল ভাবে উন্নয়ন সম্ভব।