আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। এতে পীরগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ সদস্য প্রার্থী পদে কোনো ভোট পাননি নুরুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুল ইসলাম।
৩ নম্বর ওয়ার্ড পীরগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে নুরুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে একটি ভোটও পাননি। অপর দুই প্রার্থী আমির হোসেন তালা প্রতীকে ১টি ও মশিউর রহমান ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে পেয়েছেন ১ ভোট।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগঞ্জে উপজেলার নুরুল ইসলাম ব্যাপক প্রচারণা চালান। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী থাকলেও কেউ তাকে ভোট দেননি। তিনি ইতিপূর্বে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর সাধারণ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ১৯ জন ও মহিলা সংরক্ষিত আসনে ৯ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জেলায় ৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন।
নির্বাচনে পীরগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৪৫ জন। সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ জন। এতে ৭৮টি ভোট পেয়ে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান।
প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাতজন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনজন। নির্ধারিত সময়ে ইভিএমে ভোট ১৪৫টি ভোট পড়েছে।
সাধারণ সদস্য প্রার্থী আমির হোসেন তালা প্রতীকে ১ ভোট, গিয়াস উদ্দিন (বৈদ্যুতিক পাখা) ৬০, মশিউর রহমান (ক্রিকেট ব্যাট) ১, মিজানুর রহমান (টিফিন ক্যারিয়ার) ৩, মোস্তাফিজার রহমান (হাতি) ৭৮ এবং সুবল চন্দ্র রায় (অটোরিকশা) ২২ ভোট পেয়েছেন, নুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) কোনো ভোট পাননি।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে আশামনি হরিণ প্রতীকে ১১ ভোট, সাবিনা ইয়াসমিন (ফুটবল) ৪৯ এবং সেতারা হক (টেবিল ঘড়ি) প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ ভোট।
নির্বাচনে একটিও ভোট পাননি এবিষয়ে নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।