আসসালামু আলাইকুম। সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, সম্প্রতি জয়যাত্রা টেলিভিশন এর এডমিন ম্যানেজার এবং জনৈক প্রতিনিধির যে ভয়েস রেকর্ডটি প্রকাশ হয়েছে সেটি মুলত এডিট (সংযোজন বিয়োজন) করা একটি অডিও ক্লিপ।
আপনারা ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন এটি বিভিন্ন সময়ের কথা বলা ভয়েস রেকর্ড এবং পুরো ভয়েস রেকর্ডে একাধিক নারীর ভয়েস সংযোজন বিয়োজন করা হয়েছে।
জনৈক প্রতিনিধি তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এমন জঘন্য কাজ করেছে বলেই আমরা মনে করছি।
উক্ত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেকে অভিযোগ করেছে যে সে জয়যাত্রার কার্ড ব্যাবহার করে মুলত “স্বদেশ” নামের একটি নিউজ মিডিয়ার জন্য নিউজ সংগ্রহ করে আসছে এবং তার বিরুদ্ধে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন এর বিস্তর অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে।
জয়যাত্রা টেলিভিশন এর প্রতিনিধি থাকা অবস্থায় বিনা অনুমতিতে অন্য মিডিয়ায় কাজ করাটা আমাদের অফিসিয়াল নিয়মের লংঘন বলে আমরা মনে করি। যে কারনে উক্ত প্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ থেকে রিমুভ করা হয়েছিলো। যার প্রতিশোধ হিসেবে জয়যাত্রার ভাবমূর্তি নস্ট করার জন্যই এমন এডিট করা ভয়েস রেকর্ড প্রকাশ করেছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
সারাদেশে আমাদের প্রতিনিধিগন আনন্দের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন এবং জাতীয় ইস্যু, এলাকার জনদুর্ভোগ, অপরাধ কার্যক্রম নিয়ে প্রতিদিনই সাহসী নিউজ সরবরাহ করে যাচ্ছে। এসমস্ত নিউজ প্রচার করার জন্য অফিসে টাকা দিতে হয় এমন অভিযোগ কোনো প্রতিনিধি করতে পারবে না। আমরা আমাদের প্রতিনিধিদের জয়যাত্রা পরিবারের অপরিহার্য অংশ হিসেবে মনে করি।
যেহেতু জয়যাত্রা টেলিভিশন একটি অনুমোদন এর অপেক্ষারত একটি পরীক্ষামুলক অনলাইন সম্প্রচারের টেলিভিশন সেহেতু প্রতিনিধি নিয়োগের সময় স্পস্ট উল্লেখ করে বলে দেয়া হয় যে, অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে সকল প্রতিনিধিদের বেতন কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা হবে এবং বেতন প্রদান করা হবে। সেই শর্তেই আমাদের সাথে সকল প্রতিনিধি চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন। বর্তমানে জয়যাত্রা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তুকির অংশ থেকে কিছু কিছু প্রতিনিধিকে উৎসাহ মুলক ভাতা প্রদান করে থাকে।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, জয়যাত্রা টেলিভিশন কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে মাসিক বা নিউজের জন্য কোনো প্রকার টাকা গ্রহণ করেনা। উপরন্তু ভাল নিউজ করলে তাকে অনারিয়াম এবং এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পরিশেষে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভাইরালকৃত এডিটেড ভয়েস ক্লিপটি আমাদের কাছে স্রেফ টেকনোলজির তেলেসমাতি ছাড়া আর কিছুই নয়।এমন ডিজিটাল তেলেসমাতি হরহামেশাই সাইবার অপরাধীরা আমাদের দেশে ঘটিয়ে যাচ্ছে।
যা সাইবার ক্রাইম আইনে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মানহানি এবং সাইবারক্রাইম আইনে মামলা করার দ্রুত পদক্ষেপ নিবো।
আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী, দর্শক এবং প্রতিনিধি ভাইদের এই মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। অচিরেই আমরা এই সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব এবং প্রমান হাজির করবো