একটি অসহায় ও স্বামী পরিত্যাগ করা মহিলা কেরলের ত্রিবান্দ্রম জেলার একটি রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে এক স্হানীয় মন্দিরের পুরোহিত তার তিন কন্যা সন্তান কে তার কাছে রেখে দেবার জন্য বলেন। এবং তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছিলেন । কিন্তু ২০১২,সালে, ঔ মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের আসল রূপ সামনে আসে। সে আশ্রয় দেবার নাম করে দিনের পর দিন লাগাতার ছোট দুটি বোন কে সামনে রেখে ধর্ষণ করতে থাকে।

এবং ঔ পুরোহিতের লালসা এতটাই বেশি ছিল যে ঔ অসহায় নাবালিকা কে মুখে কাপড় দ্বারা বেধে দিনের পর দিন পাশবিক অত্যাচার ও লাগাতার ধর্ষণ করে গেছেন।খবর পেয়ে নাবালিকার মা পাগলের মতো হয়ে যায়। এবং বদমেজাজি হয়ে যায়। এই ঘটনা সামনে আসতে স্হানীয় থানা তাদের উদ্ধার করে মানষিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবং পুলিশ ঔই পুরহিতের বিরুদ্ধে পকসো আইন জারি করে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। আজ সেই কেসের শুনানিতে এবং রায় দান দিতে গিয়ে কেরালা রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন এমন কোন দেবতা আছেন যে, যে পুরোহিত অসহায় নাবালিকা কে ধর্ষণ করেছে তার পূজা গ্রহণ করবেন।

এই বলে আজ ঔই পুরোহিত কে যাবত জীবনের সাজা প্রদান করে। এর আগে ভারতের নয়াদিল্লিতে কেন্টরমেন্ট এলাকায় এক অসহায় নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করে তাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই ক্ষেত্রে ওখানকার পুরোহিত জড়িত ছিলেন। দিনের পর দিন যে ভাবে মন্দিরের পুরোহিত অসহায় সাধারণ মহিলাদের উপর যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও পাশবিক অত্যাচার করে চলেছে তা নিয়ে চিন্তিত আইন বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *