শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনায় চলছে কঠোর লকডাউন প্রয়োজন ছাড়া কোন জনমানুষ নেই বাহিরে, উক্ত লকডাউন সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তৎপর, নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রক্ষা পাওয়ার এক মাত্র অবলম্বন হলো সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক পরিধান করা, জনসমাগম না করা, এর কোনটিই না মেনে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের ফলে করোনার রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। তাই বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ডেউ মোকাবেলায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পযন্ত ১ সপ্তাহের জন্য লক ডাউন দিলেও সেই লকডাউনের কার্যক্রম ছিলো শিথিল। সরকার আবার ও নতুন করে কঠোর লকডাউনের ঘোষনা দেয় ১৪ এপ্রিল হতে ২০ এপ্রিল পযন্ত। আজ ১৪ এপ্রিল বুধবার ১ রমজান, ১ বৈশাখও ২য় সপ্তাহের লক ডাউনের প্রথম দিনে খুলনার সকল উপজেলায় প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন সহ এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায় সকল বাজারের শপিংমল ও সকল দোকানপাট বন্ধ ছিলো। সকালে তরি তরকারির বাজার এবং মাছ বাজার খোলা ছিলো। এই বাজার গুলিকে প্রতিটি বাজারের বণিক সমিতি সরিয়ে পার্শবর্তী মাঠে নেয়ার ব্যাবস্থা করেছে। প্রত্যেকটি বাজারের ওষুধের ফার্মেসী গুলি খোলা ছিলো এছাড়া কৃষিপন্য সার, বীজের দোকানগুলি ও খোলা ছিল। যদিও সরকারী প্রজ্ঞাপনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব চাউল, ডাউল, তৈলের দোকান খোলা রাখার কথা লেখা আছে। তবুও খুলনা জেলার সকল উপজেলায় উপজেলায় প্রশাসনের ও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মুদিখানার দোকান খুলতে দেওয়া হয়নি।
মুদি দোকান গুলি খুলতে না দেওয়ায় সকল কে মাছ ও তরি তরকারি কিনে বাড়ি চলে যেতে হয়। রোজায় বাসায় ইফতারি বানানোর জন্য অনেকেই ছোলা, মুড়ি, ডাউল, তৈল, ভ্যাশন, খেজুর, চিড়া কিনতে না পেরে বাসায় চলে যেতে হয়।
সকল ত্রেতাগন বলেন রমজানে রোজাদার বেক্তিদের দিকে তাকিয়ে মাছ তরি তরকারির পাশা পাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবের চাহিদা মেটাতে মুদি দোকানগুলি খোলা রাখা প্রয়োজন।
