শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনায় লকডাউন এবং রমজানকে সামনে রেখে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বাজার থেকে ডাল, ছোলা, তেল এবং চিনির দাম কম হওয়ায় নিম্নবিত্ত ছাড়াও সচ্ছল অনেকেই টিসিবি’র পণ্য কিনছেন। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য মিলছে না। দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরও অনেক সময় পণ্য না নিয়েই চলে আসতে হচ্ছে। এদিকে টিসিবির বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যাপ্ত পণ্যের মজুদ রয়েছে এবং সামাজিক দূরত্ব রেখেই পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উক্ত বিষয়ে জানা যায়, ১ এপ্রিল থেকে খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পিরোজপুরে রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম জোরদার করা হয়। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার একশ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর, খালিশপুর, শিববাড়ি মোড়, নিরালা মোড়, খুলনা জেলা পরিষদ এলাকা, সাতরাস্তার মোড়সহ প্রায় ১০টি স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেকটি বিক্রয় কেন্দ্রে থাকে প্রচণ্ড ভিড়। এতে অনেকেই সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ান। ভোক্তাদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেক সময় পণ্য পাওয়া যায় না। বিশেষ করে টিসিবির পণ্য একই স্থানে বিক্রি করার কারণে সব এলাকার ভোক্তা এর সুবিধা পাচ্ছেন না। ভোক্তাদের দাবি, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মালবাহী ট্রাকগুলো পর্যায়ক্রমে থামানো হলে সব শ্রেণির মানুষ এটার সুফল পাবে। টিসিবি সূত্র জানায়, গত বছরের রমজান ও লকডাউনের সময় আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এক হাজার ৮৩৩ টন চিনি, ৩৫৪ টন মসুর ডাল, এক হাজার আটশ টন সয়াবিন তেল, ৬২৭ টন ছোলা, ২৫ টন খেজুর এবং ১১৪ টন পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। টিসিবির খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান আনিসুর রহমান উক্ত বিষয়ে বলেন, গত রমজানের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পণ্য মজুত আছে। ভোক্তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব রেখে পণ্য বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক সভায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিসিবির ১০টি ট্রাক ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি করবে। এতে সব এলাকার মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। তিনি আরও বলেন, প্রতি ট্রাকে সাতশ কেজি চিনি, তিনশ কেজি ডাল, এক হাজার দুইশ লিটার তেল, এক টন ছোলা, একশ কেজি খেজুর এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কোনো ভোক্তা পণ্য না নিয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। কেউ যদি পণ্য বিক্রির শেষ সময় লাইনে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে তো কিছু করার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *