শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ

খুলনায় সচেতনতার অভাব, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ নানা করণে” নোভেল করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। গত এপ্রিলে বিভাগে মারা গেছেন ৯৭ জন। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই সূচকেই বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলা এগিয়ে আছে। বছরের প্রথম দিকে আক্রান্তের হার কম থাকলেও এপ্রিলে এসে তা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা, টিকা নেয়া এবং সংক্রমণ রোধে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে করোনার সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মারা যায় খুলনায় ২৯ জন। সবচেয়ে কম মাগুরা ১ জন। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুষ্টিয়া ১৬ জন। যশোর ১২, ঝিনাইদহে ও সাতক্ষীরা ১০ জন, বাগেরহাটে ৭ জন, চুয়াডাঙ্গা ৫ জন, নড়াইল ৪, মেহেরপুর ৩ জন মারা যায়। এপ্রিলে মোট মারা গেছেন ৯৭ জন।বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৭২ জন। যার মধ্যে খুলনায় ১ হাজার ৩৯৯। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর ১ হাজার ১৮২ জন।

এছাড়া কুষ্টিয়া ৫৩০, ঝিনাইদহে ৩২১, বাগেরহাটে ২৬০, নড়াইল ২১১ জন, চুয়াডাঙ্গা ১৫২, মাগুরা ১২৭, মেহেরপুর ৯৯ ও সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে সাতক্ষীরায় ৯১ জন।খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েছে। লকডাউন শুরুর আগে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি একদমই মানেনি। কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় কিছুদিন পর সুফল আসতে পারে। এ মুহূর্তে মানুষকে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সচেতনতামূলক প্রচার বাড়ানো হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে সেই পরিবারকে দেয়া হচ্ছে নির্দেশনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *