বন্দর প্রতিনিধি:
তীব্র গ্যাস সংকটে কারনে বন্দরের শিল্প কলকারখানা গুলোতে এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে ত্রাহি অবস্থা। তার ওপর গ্যাসের দাম বাড়ায় নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিল্প গ্রাহকেরা। সংকটের মাঝে দাম বৃদ্ধিকে মরার উপর খাঁড়ার ঘা বলছেন শিল্প মালিকরা। (১৯ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বন্দর পূর্বাঞ্চল শিল্প মালিক সমিতির নেতারা। পূর্বাঞ্চল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও জাহিন নীট ওয়্যার লিমিটেডের এমডি এম জামালউদ্দিন বলেন, শিল্পখাতে গ্যাসের দাম দ্বিগুনের চেয়েও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে ।

এ মূল্য বৃদ্ধি শিল্প খাতে অনেক সংকট সৃষ্টি করবে। সংশ্লিষ্ট সবাই চাপের মধ্যে পড়ে যাবে।এ চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক ফ্যাক্টরী হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে বেকারত্ব বাড়বে। আন্তর্জাতিক বাজার হারাবো আমরা। শিল্পের সক্ষমতা হারাবো। আমরা যদি কমপেটিভ( প্রতিযোগিতা) হতে না পারি তাহলে অর্ডার অন্য দেশে চলে যাবে।

সামনে আমাদের জন্য কঠোর সংকট অপেক্ষা করছে। পূর্বাঞ্চল শিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি ও টোটাল ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাসিবউদ্দিন মিয়া বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে বন্দরের মদনপুর থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১১টি ফ্যাক্টরী রয়েছে। ফ্যাক্টরীগুলোতে তিতাসের এক টাকাও বকেয়া নাই। গত ৮ মাস ধরে এ ফ্যাক্টরীগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকট চলছে।

অথচ মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের ফ্যাক্টরীগুলোতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, গ্যাসের অভাবে ফ্যাক্টরী গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আগে তার ফ্যাক্টরীতে দৈনিক ২০ টন মাল ডায়িং হতো। ৮ মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। বর্তমানে আড়াইহাজার শ্রমিক তার ফ্যাক্টরী কাজ করেন। এর সঙ্গে আরও অনেক লোকের জীবন জীবীকা জড়িত। আর কয়েক মাস এভাবে চললে ফ্যাক্টরী চালানো সম্ভব হবেনা।

২৪ ঘন্টা না হোক অন্তত ১২ ঘন্টা গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখলে উৎপাদনে টিকে থাকা সম্ভব। তিনি বলেন, যদি কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা নিশ্চিত করা হয় তাহলে দাম বৃদ্ধিতে কোনো আপত্তি নেই। বৈঠকে পূর্বাঞ্চল শিল্প মালিক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য গত বুধবার শিল্পখাতে আরেক দফা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *