মোহাম্মদ এরশাদুল হক লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ নতুন পাড়ায় এক অসহায় পরিবারের বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।১৩ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নাম আছমা খাঁতুন(৫০)। সে ওই এলাকার মোজাহের মিয়ার স্ত্রী।

প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারের পক্ষ থেকে চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আছমা খাঁতুন কে টিনের ঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়। সে গৃহহীন। তার কোন জমিজমা নেই। তার ঘরে চার মেয়ে। মেয়েদেরকে অতি কষ্টে বিয়ে দেয়। চার কন্যার মধ্যে ছোট মেয়ের স্বামী প্রবাসী। গত ৪/৫ দিন পুর্বে দেশে ফিরে শ্বশুর বাড়িতে আসে। গরমের তীব্রতার কারণে তার বাড়ির নলকূপে পানি উঠেনা। অনেক দূর গিয়ে ঘটনার সময় গোসল করতে যায় পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে তালা লাগা অবস্থায় ছিল। হঠাৎ আগুন লেগে বসতঘরের কক্ষগুলো দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

খবর পেয়ে লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রুবেল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা করে। তবে টিনের ঘরের কক্ষগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফ্রিজ, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত আছমা খাঁতুন জানান, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গোসল করতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি আমার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল মাবুধ রয়েল জানান, আছমা খাঁতুন অতি দরিদ্র। তার ঘরে কন্যা চার সন্তান। অতি কষ্টে তাদেরকে বিয়ে দেয়। ২০১৯ সালে সরকারের পক্ষ থেকে আছমা খাঁতুন কে টিনের ঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছিল। তার ঘরে আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত আগুন নিভানোর চেষ্ঠা করি। তার টিনের ঘরের কক্ষগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব ধরণের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শরীফ উল্যাহ জানান, এ বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসমা খাঁতুনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *