আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে মা ছেলেকে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে অত্র এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান- গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিটে প্রতিদিনের মত কুড়ালিয়া হাসপাতালের সাবেক পিয়ন মৃত ইমাম আলীর স্ত্রী কমলা বেগম(৬০) এবং তার ছেলে হারুন অর রশিদ (৩০) তাদের নিজ ঘরে ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন আযানের জন্য।
আযানের ঠিক আগ মুহূর্তে পরিকল্পিত ভাবে অত্রএলাকার মৃত গোলাপ খানের ছেলে আবদুল হক (৪০), )ফারুক (৩৫), ফরহাদ (৫০),আসমা বেগম, রাজু(২২) দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। অভিযোহ সূত্রে জানা যায় ১ম আসামি আবদুল হক সাবল দিয়ে বৃদ্ধা কমলার মাথায় আঘাত করলে সে পিছিয়ে পড়ে এবং সেই আঘাত তার মুখের সামনে লেগে নাগ ভেঙে যায়।
এরপর বৃদ্ধাকে আসামিদ্বয় টানাহেঁচড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় উপরে তুলে ছুড়ে মারলে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। বাদী হারুন অর রশিদ তার মাকে বাঁচাতে গেলে ১নং আসামি আবদুল হক ও ৫নং আসামি রাজু তার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তার দাঁড়ি টেনে ছিড়ে ফেলে। অন্যান্য আসামিগন ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং ইফতারি করতে না দিয়ে সব ইফতারি বাহিরে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে সুকেসের তালা ভেঙে স্বর্ণঅলংকার ও টাকাপয়সা নিয়ে যায়। বাদী তার মাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিতে গেলে আসামিদ্বয় আবারও পথ আটকিয়ে রাস্তায় ফেলে মারতে থাকে। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধা কমলার আঘাতপ্রাপ্ত নাকে DNS with HITs এর আলামত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং তার ছেলের মাথায় আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
মধুপুর থানার এস আই কামরুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন – হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে রোগীর অবস্থাও পর্ষবেক্ষণ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্ততি চলছে।