আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের আওতায় উন্নতর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ২০২২-২৩ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ পরিবহণ ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীউ) ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জের উপপরিচালক তাজুল ইসলাম ভূঞা সাক্ষরিত উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য মতে, ২০২২-২৩ সালে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ পরিবহণ ঠিকাদার নিয়োগের সাপেক্ষে একটি দরপত্র দেওয়া হয়। দরপত্র নং -০২/২০২২-২৩, যার মূল্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা, তারিখ ২৯/০৯/২০২২ খ্রিঃ।
১০ অক্টোবর দরপত্র বিক্রয়ের শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ অক্টোবর দুপুর ১২ ঘটিকায়। একই দিনে বিকাল ৩ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও এবং উপপরিচালক (বীপ্র), বীপ্রকে, বিএডিসি ঠাকুরগাঁও দপ্তরের দরপত্র বাক্সটি দরপত্রের দাতাগণের উপস্থিতিতে খোলা হবে এমন উল্লেখ্য থাকে।
পুনঃদরপত্রে কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ও দরপত্র দাখিলের আগেই মূল্যায়ন কমিটি ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে দরপত্রটির ফলাফল স্থগিত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাহবুব ট্রেড্রাসের মালিক ঠিকাদার মাহবুবর রহমান বুলেট।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও ২৮ই সেপ্টেম্বর দরপত্রের ফলাফল নিয়ে টালবাহানা করে কতৃপক্ষ। পরে কতৃপক্ষ যোগসাজশ করে দরপত্র বাতিল করে পুন:দরপত্র আহবান করে। এবার ১১ই অক্টোবর আবার দরপত্র উম্মুক্ত করার আগেই আমাকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে দুজন ঠিকাদারকে ড্র করে তাদেরকে প্রথম ঘোষনা করে আমাকে ২য় ঘোষনা করা হয়। এর পরে সিডিউল দেখতে চাইলে তারা না দেখিয়ে দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে চলে যায়।
দরপত্রে ড্র হওয়া দুজন ঠিকাদারের পেছনে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে তিনি আরো বলেন, ৫১ টি রুটে দুজন ঠিকাদারের পরিবহনের দর কিভাবে মিলে যায়। তারা দুজনেই একই দাম কিভাবে নির্ধারণ করেছে এটাই বোধগম্য নয়। দুজনে ১০% লেস দেখিয়ে দাম নির্ধারণ করে দরপত্র দেয়। আর এখনো কেন দরপত্র মোতাবেক ফলাফল ঘোষনা করে নাই মূল্যায়ন কমিটি। ফলাফল ঘোষনা না করে তারা টালবাহানা করে তাদের পছন্দমত ঠিকাদারকে নিয়োগ দিতে পায়তারা করছে।
এখন আমি চাই এসব বিষয় সুষ্ঠ তদন্ত করে আবার পুনঃদরপত্র আহবান করা হোক।
এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীউ) এর উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম ভূঞা কে অফিসে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী পরিচালক (বীউ) শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এসব বিষয়ে আমার খুব বেশি জানা নেই। দরপত্র কমিটির সভাপতি ও বাকি সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে বলে তিনি বিষয়গুলো এড়িয়ে যান।