মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকু্ন্ডা মুসলিম নগর আবাসিক এলাকা পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গত ১৫ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা পশ্চিমপাড়া বায়তুল আকসার জামে মসজিদের সামনে থেকে ৪ জন ডাকাত মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য রাখা ৩ টন রড প্রহরীদের হাত পা বেঁধে ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ আইয়ুব আলী সরদার।
দায় কৃত মামলায় পৃথক অভিযানে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন শরীয়তপুরের ডামুড্যার মৃত ফজিলে করিম ব্যাপারীর ছেলে হারুন বেপারীকে (৪৫), গাজীপুরের টঙ্গীর সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান মানিক (৩৫) ,পটুয়াখালীর শেয়াকাঠির মান্নাফের ছেলে কামাল (৪০), এবং পুবাইলের আহদান উল্লাহ সরকারের ছেলে রোমাজ্জল হোসেন জামাল (৩৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান আরো জানান, ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ডাকাত কামাল ও হারুন বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতি করা ৩ টন রড, ৪টি ধারালো চাকু, ১টি কাটার, ১ টি কাঠের স্টেম রান দা, সহ ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি ৫ টনের বেড ফোর্ড ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট- ০৬-০২৭৭) উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ডাকাত কামাল ও হারুন বেপারী স্বীকার করে যে, তারা সহ আরো ৫ জন উক্ত ডাকাতি করেছে এবং ৬ জুন কালুহাজী রোড জনৈক মোঃ আলতাফ হোসেনের নির্মানাধীন বিল্ডিয়ের নীচ তলা থেকে আলতাফ হোসেনের পার্টনার মাসুদের হাত-পা লুঙ্গি ও গামছা দিয়ে বেঁধে ৪ টন রড ডাকাতি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘুরি স্কুলপাড়া এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রেখে দেয়।
পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ওয়াপদার পুল এনায়েতনগর লাকি রাজারস্থ নীট ফেয়ার লিঃ গার্মেন্টসের সামনে থেকে প্রহরীদের হাত পা রশি দিয়ে বেধে ৮ টন রড ডাকাতি করে পূর্বের ন্যায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একই স্থানে রেখে দেয় এবং সেখান থেকে কিছু রড বিক্রি করে ডাকাত সদস্যরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। উল্লেখিত ঘটনা সংক্রান্তে ইতোপুর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি ডাকাতি মামলা হয়েছিল।
উল্লেখিত ডাকাতকে সঙ্গে নিয়া তাদের দেয়া তথ্যমতে, ১৬ আগস্ট লুণ্ঠিত আনুমানিক ৬ টন রড উদ্ধার করা হয় এবং ডাকাতির রড ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সাইদুর রহমান মানিক ও রোমাজ্জল হোসেন জামালকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ গাজীপুর, ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় একই কায়দায় ডাকাতি করে আসছিল। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকু্ন্ডা মুসলিম নগর আবাসিক এলাকা পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
আমি আশা করি এই গ্রেফতারের ঘটনায় ডাকাতি বন্ধ হবে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।