আলিফ তারোন প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি ফারুক চৌধুরীর পরবর্তী নেতৃত্ব হিসেবে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জননেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। যিনি এমপি ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে প্রায় তিন দশক ধরে এখানো এমপির ওপর সম্পুর্ণ আস্থা রেখে রাজনীতি করে চলেছেন। অথচ এই দীর্ঘ সময়ের পথ চলায় তিনি কখানো এক মিনিটের জন্যও এমপির কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধীতা বা বেঈমানী না করে এখানো আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে তৃণমুলে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। এসব বিবেচনায় এবার তৃণমুল থেকে ময়নাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করার দাবি উঠেছে।জানা গেছে, প্রত্যেক মানুষের স্বপ্ন থাকে, তবে সেই স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে পারে প্রতিবন্ধকতা। তবে যিনি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। সেই সফলতা অর্জনকারীদেরই এক জন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ময়না। যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্যর উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ময়নার কাজে সফলও হয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি আজ তানোর উপজেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন।
তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা।কথা বলছিলাম রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা সফল চেয়ারম্যান সম্পর্কে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন।তানোর উপজেলার আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিত এ মানুষটি নিজের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন এবং পেয়েছেন অসংখ্য জাতীয পুরস্কার। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী ময়না ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। পর পর তিনি দুইবার কলমা ইউপিতে সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্মকান্ডে তুষ্ট হয়েই তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। সেই আস্থার প্রতিদানও দিচ্ছেন তিনি। কাজ করে যাচ্ছেন, দলের জন্য এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য। কাজ করছেন এম.পি’র জন্য। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য।
বয়সে তরুণ হলেও তিনি মনোবল হারাননি। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা উপজেলা চেয়ারম্যান বুঝি না।ময়না একজন ভাল মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। একান্ত আলাপচারিতায় চেয়ারম্যান ময়না বলেন, এলাকাটি গরীব হওয়ায় দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তাদের উন্নয়নে বেশী পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আমি আমার নিজস্ব প্রচেষ্টায় তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকতে চাই। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেকে সপে দিব।#