তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে কৃষি মন্ত্রণালয় ও সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৫ হর্স পাওয়ারের স্থাপিত অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ডিজিএম’র নির্দেশে অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও, আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে এজিএম-পরিদর্শক যোগসাজশ করে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছে।
স্থানীয়রা বলছে, এসব অবৈধ মটরের দৌরাত্ম্য বিএমডিএ সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এতে কৃষকদের মধ্য চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।অন্যদিকে অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পরের দিন গোপণে ফের সংযোগ দেয়া হয়েছে। এদিকে অবৈধ মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা না হলে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে,, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির দুবইল গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র গোলাম রাব্বানী ওরফে লেলিন দুবইল মাঠে অবৈধ ভাবে ৫ হর্স পাওয়ারের মটর স্থাপন করেছে। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় কর্মকর্তা বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওই অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। অপরদিকে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুনঃরায় সংযোগের ঘটনায় ডিজিএম-এজিএম ও পরিদর্শক ত্রিমুখী দন্দে জড়িয়ে পড়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (এজিএম) রেজাউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে
বলেন, এসব ডিজিএম সাহেব বলতে পারবেন। এক বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আবার কেনো সংযোগ দিলেন এই প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। এবিষয়ে গোলাম রাব্বানী লেলিন বলেন, মুরগী খামার করে ব্যবসা হচ্ছে না, তাই জমিতে সেচ দিচ্ছি। তবে মটর স্থাপনে অনুমতি নিয়েছেন কি না সেই প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।
