তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভা সৃস্টির প্রায় দু’দশক পেরিয়ে গেলেও মশা নিধনের সুবিধা এখনো পৌঁছায়নি ওয়ার্ড পর্যায়ে।
পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বছর শেষে সদর এলাকায় দু একদিন ফগার মেশিনে স্প্রে করে বাজেটের লাখ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। অনেকে এর নাম দিয়েছে ঈদ সেলামীর মশা নিধন। অসমর্থিত সুত্রে সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয় ৩য় ও ৪র্থ কিস্তিতে প্রতিটি পৌরসভায় দুই লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেয়। যা পৌরসভা সমূহে ডেঙ্গু মশক নিধন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার উপখাতে দেয়া হয় এবং গত ৮ এপ্রিল অর্থ অবমুক্ত করা হয়। এদিকে অর্থ বরাদ্দের পর মাত্র একদিন পৌরসদরের কিছু অংশে স্প্রে করা হয়।
এরপর থেকে আর কোথাও কোনো স্প্রে বা পরিষ্কার পরিছন্নতা কার্যক্রম করা হয়নি। আর ডেঙ্গু নিধনে এলাকায় সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনো প্রচারণাও করা হয়নি, তবে বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন ও নয়ছয় করা হয়েছে বলে গুঞ্জন বইছে। সুত্র জানায়, পৌরবাসীদের নাগরিক সুবিধার্থে নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সড়ক বাতি, পানি নিস্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশা নিধন কার্যক্রম অব্যহত রাখার নিয়ম রয়েছে তবে এই দুটি পৌরসভায় তা উপেক্ষিত বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।
পৌরসভার আমশো গ্রামের বাসিন্দা জনৈক মাহাবুর, কালীগঞ্জহাট এলাকার মাকসুজ্জামান বলেন, তারা নিয়মিত পৌরকর দিয়েও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। এ যাবত পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কখনও মশা মারার কার্যক্রম চালায়নি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাই, নামমাত্র যতটুকু আছে সেটা পরিস্কার করা হয় না, দু’এক জায়গায় সড়ক বাতি লাগানো হলেও তা নস্ট, বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট ইত্যাদি নাগরিক সেবা থেকে তারা বঞ্চিত রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর কাউন্সিলরগণ বলেন, মশা নিধনের জন্য আধুনিক যন্ত্র রয়েছে আমাদের। তবে সে যন্ত্র ক্রয়ের পর নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম না করায় যন্ত্র প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অথচ প্রতিবছর পৌরসভা বাজেটে মশা নিধনের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ করে তা তছরুপ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌরসভার সচিব আবুল হোসেন বলেন, আমরা পৌরসভার অর্থায়নে ইতিমধ্যে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়মিত বিভিন্ন স্থানের আর্বজনার স্তুপগুলো পরিষ্কার করছে। আর মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিধন অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এ খাতে কোনো অর্থ দিয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। যদি আসে তাহলে আমরা মশা নিধনে কাজ করবো। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।