তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোর পৌরশহরের আলোচিত মডার্ন ক্লিনিকে ফের প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ক্লিনিক নামের যমালয় বন্ধের দাবি করেছে। তবে রোগীর অবস্থা জটিল এবং অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এদিকে উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়, মডার্ন ক্লিনিকের লাইসেন্স এখানো নবায়ন হয়নি, ফলে এখন এটাকে অবৈধ ক্লিনিক বলা যায়। তিনি বলেন, সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিৎ এসব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া তাহলে অপচিকিৎসা কিছুটা হলেও বন্ধ হবে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে পৌর সদরের আমশো গ্রামে মডার্ন ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) কাঁসারদীঘি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন প্রসব বেদনা নিয়ে ওই গৃহবধু তানোর উপজেলা হাসপাতালে আসে। কিন্ত্ত তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে (রামেক) হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়।এদিকে মডার্ন ক্লিনিকের মালিক সাহাদাৎ হোসেন উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দিয়ে প্রসুতিকে তার ক্লিনিকে ভর্তি করায়। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের পরিবর্তে ক্লিনিকের অদক্ষ স্টাফরা তাড়াহুড়ো করে রোগীর অপারেশন করান। অপারেশনের ঘন্টাখানেক পর বাচ্চা ভালো থাকলেও প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তার রক্ত লাগবে বলে জানায় চিকিৎসকরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তবে, ওইদিনই রাতভর দেন দরবার শেষে হতদরিদ্র ওই প্রসূতির পরিবারের সঙ্গে আপোষ করে নেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ, আর খবর না করার জন্য কথিত সাংবাদিক দলকে টাকা দেয়া হয়।এনিয়ে নিহতের পরিবারের কেউ কোন কথা করতে রাজি হননি।এদিকে, মডার্ন ক্লিনিকের পরিচালক সাহাদ্যৎ হোসেন বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। আর নিহতের লাশ রাতেই স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নাই থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *