আলিফ হোসেন,তানোরঃ

রাজশাহীর তানোরে আবহাওয়া নিয়ে কৃষকের দুঃশ্চিন্তা সত্যিতে পরিণত হলো। কৃষকের সোনালী ফসলে সেই স্বপ্ন অনেকটা দুঃস্বপ্ন করে দিয়েছে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি। এ উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে অল্প পরিসরে পাকা ধান ঘরে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হতে আরো ১০-১৫ দিন সময় লাগবে।এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার কৃষকদের স্বপ্নের সোনালী ফসল এখন মাটিতে নুয়ে পড়েছে।উপজেলার কৃষকরা বলছে, আমাদের কষ্টের সোনালী ধান এখন সব মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের ধানের ফলন কমে যাবে।

যে ধানগুলো কাঁচতি আছে সেগুলোর আরো ফলন কম হবে বলে ধারনা করছে তারা। এছাড়া ডবল মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাবেনা বলে মনে করছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এর বিলকুমারি বিলে প্রায় ১১শ হেক্টর রয়েছে।

উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) শ্রীখন্ডা গ্রামের নিবারন চন্দ্র জানান, ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। কিছু নিচু এলাকার জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। অনেক জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এতে আমাদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।তানোর পৌরসভা কৃষক সারোয়ার হোসেন ও মনিরুজ্জামান বলেন, ঝড় বৃষ্টির কারনে আমাদের ইরি ধানের খুব ক্ষতি হয়েছে।

যে ভাবে ধান মাটিতে শুয়ে পরেছে তাতে আর ভালো ফলন হবেনা। ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া খুব কঠিন হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে এই উপজেলার অল্প কিছু জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা পরামর্শ দিচ্ছি জমিতে পানি থাকলে তা দ্রুত বের করে দেওয়ার জন্য। যদি সম্ভব হয় তাহলে দুই-তিনটি গোছা এক জায়গায় করে বেঁধে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *