আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ সেচ প্রকল্প হুমকির মূখে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির কারণে কৃষিবান্ধব প্রতিষ্ঠানের ভবিষৎ হুমকির মূখে পড়েছে। এতে এলাকার হাজার হাজার কৃষক চরম দুঃচিন্তায় দিন অতিবাহিত করছে। তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মটর প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা বাণিজ্যে করছে।তারা এসব অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্য করায় বিএমডি’র অধিকাংশ
গভীর নলকুপ ভু-গর্ভস্ত পানির লেয়ার ফেল করায় অকেজো হয়ে পড়ছে। জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির দুবইল গ্রামের গোলাম রাব্বানী লেলিন, ডামফু, জানিফ আলী, চিমনা গ্রামের জালাল,তালন্দ ইউপির কালনা উত্তরপাড়া গ্রামের হাসান আলী ও জসিম, বাধাইড় ইউপির শসানতলা গ্রামের শাহজাহান আলী, বৈদ্যপুর গ্রামের আবুল হায়াৎ, ও চাঁদপুর গ্রামের সাদেক আলী। সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ মটর স্থাপন ও কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাণিজ্যের নামে কৃষকের পকেট কাটছে। স্থানীয়রা জানান, এসব অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সংযোগ প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে পল্লী বিদ্যুতের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
তানোরের অসংখ্য মানুষ আবাশিক সংযোগ থেকে সেচ বাণিজ্যে করছে।
অথচ সেচ নীতিমলা অনুয়ায়ী আবাশিক সংযোগ থেকে কৃষি জমিতে সেচ দেয়া হলে সেই মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। তবে পল্লী বিদ্যুৎ এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে জরিমানার নামে বাণিজ্য করছে। এব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী বলেন, গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় সেচ মটর স্থাপনের কোনো সুযোগ নাই আর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না এমনকি আবাশিক সংযোগ থেকে সেচ দেয়া যাবে না।এব্যাপারে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তানোর এরিয়া ম্যানেজার (এজিএম) জহুরুল ইসলাম, বলেন, খাবার পানির মটর থেকে কৃষি জমিতে সেচ দেয়া যাবে না।
