তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর তানোরে ভেজাল ও নিম্নমাণের কীটনাশক স্প্রে করায় এক কৃষকের প্রায় ৮ বিঘা আমণখেত ঝলসে গেছে। উপজেলার সরনজাই ইউপির সরনজাই খাঁপাড়া মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতিপুরুণ আদায়সহ কীটনাশক ব্যবসায়ীর শাস্তির দাবিতে এলাকার কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার সরনজাই ইউপির সরনজাই খাঁপাড়া গ্রামের মৃত রহমান শাহ্‌র পুত্র দারেস আলী ইউপির মণ্ডলপাড়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী জামায়াত মতাদর্শী মিজানের পরামর্শে তার দোকান থেকে কয়েক প্রকার কীটনাশক কিনে আমণখেতে স্প্রে করেন। কিন্ত্ত এসব কীটনাশক
স্প্রে করার পরপরই ধান গাছের পাতা পুড়ে ঝলসে গেছে।

গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, সরনজাই খাঁপাড়া মাঠে কৃষক দারেস আলীর প্রায় ৮ বিঘা আমণখেত পুড়ে ঝলসে গেছে। দারেস জানান, কারেন্ট পোকা ও পচনের জন্য মণ্ডল পাড়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মিজানের পরামর্শে তার দোকান থেকে বিষ কিনে স্প্রে করার পর আমার পুরো জমির ধান পুড়ে গেছে, এতে তার প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অথচ জমির ধানই ছিল তার সংসার পরিচালনার মুল ভরসা। তিনি বলেন, এখন ধান পাওযা তো পরের কথা ঋণ পরিশোধ করবেন কিভাবে সেই চিন্তায় দিশেহারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, মিজান সিনজেন্টার ডিলার না হয়েও সিনজেন্টার বিভিন্ন কীটনাশক বিক্রি করে। তারা বলেন, এসব কীটনাশক সে মান্দা উপজেলার সাবাইহাট ও মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট থেকে নিয়ে এসে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছে।
এবিষয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি দারেসকে মাজরা পোকা দমনের জন্য টেনস কোম্পানির এম গোল্ড, প্রেফ্রেগেমের ছত্রাক পি-বিন, উইনমিক্স ও কারেন্ট পোকার জন্য পাইরাজিন বিষ দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, তার দেয়া কীটনাশকে ক্ষতি হয়নি অন্য কীটনাশকে ক্ষতি হতে পারে। এবিষয়ে ইউপি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসিম জানান, গত সোমবারে দারেসের পুড়ে যাওয়া জমি পরিদর্শন করে বোঝা গেছে দোকানের কীটনাশকে ধান পুড়েনি। অন্য কোন বিষ স্প্রে করার জন্য এমন হয়েছে। আপনি কি ভাবে বুঝলেন দোকানির কীটনাশকে পুড়েনি এই প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে নাম্বার বিজি রাখায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *