তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরের আনাচে-কানাচে ব্যাঙেে ছাতার মতো গড়ে উঠেছে সমবায় সমিতি, জেঁকে বসেছে দাদন, হচ্ছে অবৈধ লেনদেন।মাদক, সন্ত্রাস, জুয়ার মতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে দাদন। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনের অভিযানে নামা উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন সমাজ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে দাদন চক্র। অধিকাংশক্ষেত্রে চটকদার নাম দিয়ে রাতারাতি গড়ে উঠা এসব কথিত সমিতির ফাঁদ যেনো মগের মুল্লুকে রুপ নিয়েছে। জানা গেছে, সংঘবদ্ধ দাদন সিন্ডিকেট চক্র ঘন্টা চুক্তি, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তিতে দাদন দিয়ে থাকেন। বিপরীতে মর্গেজ হিসেবে ঋণ গ্রহীতার কাছে থেকে তার টিপসহী ও স্বাক্ষর সংবলিত ৩ শত টাকা মুল্যর ফাঁকা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং ব্যাংক চেক বইয়ের পাতা। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ বা একটু এদিক-সেদিক হলেই এসব স্ট্যাম্প-চেকে টাকার অঙ্ক চারগুন বশিয়ে আদালতে ঠুকে দিচ্ছে মামলা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোরের সরনজাই বাজারে একতা যুব উন্নয়ন সংস্থা (এযুউস) বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতিত অবৈধ ভাবে গ্রাহকের কাছে থেকে সঞ্চয় গ্রহণ ও উচ্চ সুদে ঋণ বিতরণ করছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রোকেডিট রেগুলেটারী অথারেটির লাইসেন্স ব্যতিত আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না করলে সেটা বেআইনি। জানা গেছে, তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় ‘একতা যুব উন্নয়ন সংস্থা’ ৫ টি শাখা অফিস খুলে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করছে। তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার এসব সদস্যর মধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ ও প্রায় ১০ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা আছে।তাদের উচ্চ সুদের জালে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে একতা যুব উন্নয়ন সংস্থার (এযুউস) চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা সমাজ সেবা ও সমবায় অফিস থেকে অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম করছেন, তবে মাইক্রোকেডিট রেগুলেটারী অথারেটির সাইসেন্স নাই আগামি অল্প কিছু দিনের মধ্য পেয়ে যাবো। এবিষয়ে সরনজাই শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, মানুষ কখনো অন্যর ভাল চায় না। তিনি বলেন, অন্যরা যেভাবে ঋণ দেয় তারাও সেভাবে ঋণ দেন,এতে ঋণ গ্রহীতার পাশাপাশী অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ কুমার দেবনাথ বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।