মোঃ ফজলুল করিম সবুজ (নওগাঁ) –
নওগাঁর মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সোনাবরকে গ্রেফতার করেন।

গত ইং ৭/৭/২০২৩ তারিখ মান্দা থানাধীন ২ নং ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর পাগলিতলা মন্দির সংলগ্ন মাঠে ঘাস কাটতে যান এক যুবক। এসময় জনৈক রাজুর নেপিয়ার ঘাসক্ষেতে মহিলার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান তিনি। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।

মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিন বলেন- সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেলা ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।মৃত মহিলার নাম মলিনা বেগম(৫৫)। উপজেলার মৈনম ইউপির চকদারপাড়া গ্রামের জিয়ার উদ্দিনের মেয়ে।

মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ওই মহিলার পরনে বোরকা ছিল এবং মুখমুন্ডলে সাদা দাগ ছিল।

পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের মুল হোতা ঘাতক মোঃ সোনাবর (৪৫) কে ফরিদপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মৃত মলিনার সাথে আসামী সোনাবর এর মুঠোফোনে পরিচয় হয়।এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তারা পরষ্পরকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।ইং ৬/৭/২০২৩ তারিখ তারা বিবাহ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়।সেদিনই তাদের প্রথম দেখা হয়।তারা একত্রে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যায় বিবাহ করার জন্য আসামী সোনাবর এর বাড়িতে যায়।কিন্তু ভিকটিম হঠাৎ তার সিদ্ধান্ত বদল করে এবং সোনাবরকে বিবাহ করতে অস্বীকৃতি জানায়।তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।আসামী সোনাবর তখনই তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরিকল্পনা করে।তারই পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী সোনাবর ভিকটিমকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য একত্রে বাড়ি থেকে বের হয়।এরপর পাগলিতলা মন্দিরের কাছাকাছি পৌঁছালে আসামী সোনাবর অতর্কিতভাবে ভিকটিমের গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘাসের ক্ষেতে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।

মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী জানান, সোনাবরকে গ্রেফতার করে হত্যা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *