নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় প্রভাব ও আধিপত্য কায়েম নিয়ে হামলায় ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম (২৮) খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়াকে হুকুমের আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ৪ এপ্রিল রাদে মেরাজুলের মা নাসরিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, মামলায় এখন পর্যন্ত আব্দুর রব ও স্বপন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মেরাজ বন্দরের ছালেহনগর এলাকার এজাজ মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় আহত অপরজনের নাম আলআমিন (২৭)। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

মেরাজের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌছলে মেরাজের সমর্থকেরা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহীন মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরসহ সালেহনগর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মামলার অপর আসামীরা হলেন বন্দরের চিনারদী এলাকার শাহ আলমের ছেলে আকিব হাসান রাজু (৩৪), ছালেহনগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে সোহেব ওরুফে সৌরভ (২৮), নূর হোসেনের ২ ছেলে সাখাওয়াত হোসেন পিংকি (৩৮) ও বাবু (৪৫), আব্দুল জলিলের ছেলে ফয়সাল ওরফে রবিন (৩০), শামসুদ্দিন প্রধানের ছেলে কাজল প্রধান (৪৮), মুছা মিয়ার ছেলে মাসুদ ওরুফে মাইচ্ছা (৪৮), তোতা মিয়ার ছেলে নাদিম (৩৭), রূপালী আবাসিক এলাকার বাকি মিয়ার ছেলে মানিক (৩৫), একই এলাকার মৃত সোয়েব আলী বেপারীর ছেলে আব্দুর রব (৫৫), মুছা মিয়ার ছেলে স্বপন (৪৮), সোবহান মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন বিল্লু (৩৩), কুদ্দুস মিয়ার ছেলে রানা ওরুফে কাইল্লা রানা (৩২)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *