নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে মাছ-মাংস-মশলার পাশাপাশি স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে।

শুক্রবার (২৬ মে) সকাল ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচা বাজার গুলো ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বেগুন ৮০, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা,করলা ১০০ টাকা, টমেটো কেজি ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০-৬৫ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া (১ পিছ) ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০-১০০ টাকা, জালি কুমড়ার পিস ৬০ টাকাএবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাক-সবজির এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী নিয়ামত।

তিনি বলেন, মাছ মাংস কিনে এলাম শাক-সবজির বাজারে। ভাবলাম বেঁচে গেছি। এসে দেখি ওমা! ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজিই নেই। এটা অন্যায়। আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ, কিন্তু এরপরও এত দাম সবজির! কী করে সম্ভব?

আরেক ক্রেতা আব্দুর রহমান বললেন একই কথা। তিনি বলেন, সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এটা সম্পূর্ণ কারসাজি। বাজার তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজার ঘুরে দরদাম সম্পর্কে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে ৭০/৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই।

বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, আর করলা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের সবজিই যদি এত বাড়তি দামে বিক্রি হয়, তাহলে আমরা কীভাবে
কিনব? হঠাৎ সবজির এমন বাড়তি দাম সম্পর্কে কাঁচা বাজারের বিক্রেতা আব্দুল করিম বলেন, অতিরিক্ত গরমে সবজির সরবরাহ কম।

অনেক ধরনের সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে। ফলে সেসব সবজির দাম বাড়তি। বৃষ্টি নেই বললেই চলে, অতিরিক্ত গরম, যে কারণে
সবজি কম ফলছে। চাহিদার তুলনায় পণ্য ঢাকায় কম আসায় কারওয়ান বাজারসহ পাইকারি বাজারগুলোতেই সবজির দাম বাড়তি।

যে কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পেঁপের দাম বাড়ার পেছনে কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেঁপের বাজার হঠাৎ করেই বেড়েছে, কারণ পেঁপের মৌসুম শেষের দিকে, গাছে এখন পেঁপে নেই। তাই প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় করলার দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে।

আরেক সবজি বিক্রেতা জামাল বলেন, সবজির দাম কয়েকদিন ধরে বাড়তি দাম বাড়তির কারণে আগের চেয়ে সবজি বিক্রিও কমেছে আমাদের। আগে যেখানে একজন ক্রেতা একটা সবজি এক কেজি নিত, এখন সেখানে আধা কেজি নিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *