বন্দর প্রতিনিধি:

দেশব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রভাব পড়েছে নারায়ণগঞ্জেও। এ কারণে নতুন করে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার। গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানায়। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে।

বিভিন্ন এলাকায় চলছে অবৈধ সংযোগ দেওয়ার হিড়িক। সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান পরিচালনা হলেও এখনও অব্যাহত রয়েছে অবৈধ সংযোগ। এর নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা। একদিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও অন্যদিকে রাতের আঁধারে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে হামলার শিকার হতে হয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষকে।

বন্দর উপজেলার মধ্যে বন্দর ইউনিয়নে অবৈধ গ্যাস সংযোগের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এ অবৈধ গ্যাসলাইন থেকে রাইজারপ্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে। এলাকার স্থানীয় নেতারা এ গ্যাস সংযোগের পেছনে রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নামও উঠে এসেছে। তিতাসের অনুমতি ছাড়াই এসব সংযোগ দেওয়া হয়।
২০ মে (শনিবার)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা এলাকার পপির বাড়িতে রাস্তা কেটে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসানো হয়েছে গ্যাসের অবৈধ পাইপলাইন।

তবে কিছু কিছু স্থানে গ্যাস পাইপলাইন মাটির ওপর দিয়েও নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাইন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। যে কোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ লাইনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বন্দর ইউনিয়নে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: ছালাম মিয়া। প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে রাতের আঁধারে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে বাড়ির মালিক পপি বলেন, শুধু আমার বাড়িতেই অবৈধ সংযোগ না এলাকার সভার বাড়িতে অবৈধ সংযোগ আছে। আমরাতো বৈধ লাইন নিতে চাই সরকার বৈধ লাইন দেয়না কেন?।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *