নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আমজাদ হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে৷ সোমবার (২৪ জুলাই) রাত নয়টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৷ এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত আমজাদ হোসেন (৪৫) নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন৷ তিনি মামুন এন্টারপ্রাইজ নামে পরিবহনের ম্যানেজার ছিলেন৷ তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায়৷
এর আগে দুপুর দুইটার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা (মিশুক) চালক সিরাজুল ইসলামের (৫০) মৃত্যু হয় ৷ গুরুতর আহত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম মাসদাইর পাকাপুল এলাকার বাসিন্দা ওই এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক মো. সবুজ বলেন, একই গ্যারেজের রিকশা চালান তারা । সকালে রিকশা নিয়ে বের হন সিরাজুল। চাষাঢ়ায় দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক। ঢাকায় নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে সিরাজুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার সকাল এগারোটায় ফতুল্লার বিসিক এলাকার একটি পোশাক কারখানার আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালে এর চালক ও একজন পথচারী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের গাড়িচালক এবং সালাউদ্দিন সাবু (৪৮) শহরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর হোসেন হঠাৎ স্ট্রোক করেন ঢলে পড়েন। তখন গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে থাকা কয়েকটি বাহনে ধাক্কা দেয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকার ইরানি (২৬), জামতলা এলাকার সারা (১৮), একই এলাকার নাজমা (৪০), খানপুর সরদারপাড়া এলাকার রোকন (৪০) এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের রেশমা (৪০)। আহত অবস্থায় তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওয়ার্ডবয় সৌরভ বলেন, চাষাঢ়ায় দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। রোকন নামে একজন অর্থপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।