ডেক্স রিপোর্টঃ
গত ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু।
তিনি বলেন সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসী জানেন রমজান ১৮ বছর ধরে সঞ্চয় সমিতি পরিচালনা করছে। যার সরকারিভাবে কোনো অনুমোদন নেই। সম্পূর্ণ ভুয়া। অসহায় মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ সঞ্চয় সমিতিতে আমার ১৭ নং ওয়ার্ডের প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক আছে. যারা তহবিলে টাকা জমা রেখেছেন।
এসবের মধ্যে রয়েছে গরীব, অসহায়, রিকশাচালক,অটোচালক, ভিক্ষুক-প্রতিবন্ধী, বাসা বাড়িতে কাজ করে এসব লোকজন।তাদের পাশে কি কেউ নেই? গরিবের টাকা যে আত্মসাৎ করেছে তাদের কি কোন বিচার হবে না। এই সব লোকজন প্রথমে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে যান।তিনি দায়িত্ব দেন প্যানেল মেয়র বিভা হাসানকে।
বিভা হাসান সাবেক প্যানেল মেয়র ওবায়দুল্লাহ সাহেব ও বীরমুক্তিযোদ্ধা কাদের দেওয়ান রমজানকে ডেকে বিচারে বসেন। রমজান প্রায়১৫ কোটি টাকার কথা স্বীকার করে। এবং তার খাতায় প্রায় কোটি টাকার হিসাবও পাওয়া যায়। এবং হিসাবের খাতাগুলো বিভা হাসানের কাছে সংরক্ষিত আছে।
পরবর্তীতে রমজান ৫ কোটি টাকার একটি চেক কাদের দেওয়ান কে প্রদান করেন এবং সেই চেকটি ডিজঅনার হওয়ার কারণে কাদের দেওয়ান রমজানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের দেওয়ান অসুস্থ থাকার কারণে মামলাটি পরিচালনা করার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। যেহেতু আমার ওয়াডের পনেরোশ অসহায় গরীব মানুষের টাকা রমজান আত্মসাৎ করেছে এই অসহায় মানুষগুলো প্রতিনিয়ত আমার কাছে এসে চোখের পানি ফেলেতো।তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে মামলা পরিচালনার দায়িত্বভার আমি নিয়েছি।
আমি সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
আমি সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা সবাই সরজমিনে এসে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সঠিক এবং সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন।
কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।