মোহাম্মদ এরশাদুল হক চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা ছবি ব্যবহার করে অশালীন মন্তব্য, মিথ্যা তথ্য, আক্রমণাত্মক ও হুমকিমূলক স্ট্যাটাস এবং কমেন্টস করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কর্ণফুলী শিকলবাহা এলাকার পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মোঃ ইকবাল আল ফারুক (৩৫) নামে এক ভুক্তভোগী।

চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন।

গত ৩ জুলাই এই মামলা দায়ের হলেও কয়েকদিন আগে পিবিআই পুলিশ বাদী-বিবাদীকে নোটিশ করায় জনসম্মুখে প্রকাশ ও জানাজানি হয় বিষয়টি।

চট্টগ্রাম মেট্টো এলাকাধীন কর্মরত পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৫, ২৬ ও ২৯ ধারায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা মাষ্টারহাট এলাকার হাজী আবদুর রহমানের ছেলে এজাজ আল ফারুক (৪০), হাজী ইব্রাহিম ফারুকের ছেলে আতিকুর রহমান শাকিল (২৭), হারুনুর রশিদের ছেলে মাহমুদুর রহমান ফাহিম (২৬), সেকান্দর মিয়ার ছেলে আসিফ মাহমুদ (২৪) ও মোঃ আজমের ছেলে জাহেদ হাসান কে (২৪)।

সাইবার পিটিশন (নং-১৮৩/২০২২ইং) মামলার এজাহারে ফেসবুক স্ট্যাটাসের বেশ কয়েকটি পোস্ট ও কমেন্টস লিংকের বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী। যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে পুলিশ পরিদর্শক জানান।

বাদী ইকবাল আল ফারুক বলেন, ‘আমার সৎ ভাই এজাজ আল ফারুক এবং তার সহযোগীরা কয়েকজন মিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এমন কি আমার স্ত্রীকে নিয়েও মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ মানহানিমূলক মন্তব্য এবং স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাদের এসব স্ট্যাটাস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্যে ভরা। এতে আমার ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’

বাদির পক্ষে চট্টগ্রাম জজকোর্টের আইনজীবি মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তরা ডিজিটাল আইনের ২৫ (ক), ২৬(২) ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। কেননা ফেসবুকে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ করেছেন। আইনে বলা আছে কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত বা হেয়প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, এরজন্য তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *