মোঃ আইনুল হক পীরগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বিনামূল্যের অনলাইন শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম ওয়ান ওয়ে স্কুলের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় ফ্রিল্যান্সার কার্নিভাল “ন্যাশনাল টেক এওয়ার্ড ২০২৩” এ চট্টগ্রাম বিভাগীয় বেস্ট ফ্রিল্যান্সার মেন্টর এওয়ার্ড পেলেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান ফ্রিল্যান্সার মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বেসিস এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএমসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মোঃ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা: তানজিবা রহমান এবং ইমার্জিনা ইসলাম সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৭নং হাজীপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফ্রিল্যান্সার আজাদ হষ বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। এই সম্মাননা আগামীতে আমার কাজে আরো অনুপ্রেরণা দিবে। তিনি জানান, ২০১০ সালের দিকে অজপাড়া গ্রাম থেকেই শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং এর পথচলা। শুরুর দিকে তার এই পথচলা কস্টময় ছিল। অনেক বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে তিনি এখন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার এবং প্রশিক্ষকও।

বাসায় বসে বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাজ করে ডলার আয়ের পাশাপাশি তিনি দূর করেছেন অনেক ছেলে মেয়ের বেকারত্ব। সর্বশেষ গত তিন বছর ধরে তিনি তার নিজ প্রতিষ্ঠান “রাইজিং ষ্টার একাডেমি ” এর মাধ্যমে “ডিজিটাল মার্কেটিং উইথ ফ্রিল্যান্সিং” কোর্সে ট্রেনিং দিয়ে আসছে এবং ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটি লিডার হিসেবে তিনি ফ্রিল্যান্সিং স্বপ্নবাজদের বিভিন্ন পরামর্শ এবং উৎসাহ দিয়ে আসছেন।

সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এর ঠাকুরগাঁও জেলার সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্বপ্ন সে শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কে প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের সারথি হবেন।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া জাতীয় ফ্রিল্যান্সার কার্নিভাল “ন্যাশনাল টেক এওয়ার্ড ২০২৩ অনুষ্ঠানে ১৯টি ক্যাটাগরিতে সারা বাংলাদেশের ৪০ জন সফল ফ্রিল্যান্সারকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে- দেশের আটটি বিভাগের সেরা আটজন ফ্রিল্যান্সার, আটজন সেরা ফ্রিল্যান্সার মেন্টর, আটজন সেরা ফ্রিল্যান্সার ইন্সিটিটিউট, একজন করে ফ্রিল্যান্সার (স্পেশালি মেনশন), উইমেন ফ্রিল্যান্সার, টেক ইউটিউবার, এডটেক উদোক্তা, এডটেক প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, এফ-কমার্স উদ্যেক্তা, উইমেন উদ্যেক্তা, হেল্থ টেক কোম্পানি, টেক কোম্পানি, আইটি উদ্যেক্তা, টিন ফ্রিল্যান্সার, ইয়ং প্রফেশনাল, এক্সেলেন্স ইন এডুকেশন, কমিউনিটি লিডার ও ইউনিভার্সিটি ক্লাব।
ফ্রিল্যান্সার রাসেল হোসেনের মতে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেই কেবল সাফল্য পাওয়া সম্ভব। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শুধুমাত্র কাজের কোয়ালিটিই এনে দেবে সাফল্য।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে পরিশ্রম আর ইচ্ছার বিকল্প নেই। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই নারী ফ্রিল্যান্সাররাও। তাদের উৎসাহ এবং স্বপ্ন দেখাতে পরিবারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *