ইন্দ্রজিৎ টিকাদার,
বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধি :

আর মাত্র ৩ দিন পর আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সারা বিশ্বের ন্যায় দেশের হিন্দু জনঅধ্যূষিত বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয়া দূর্গোৎসব ।

উপজেলায় ব্যক্তিগত ও সার্বজনীন মিলিয়ে উপজেলায় সর্বমোট ১১৪ টি পূঁজা মন্ডপে টানা ৫ দিন একযোগে এ পূঁজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।এবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে পূঁজা মন্ডপের সংখ্যা হলো জলমা ইউনিয়নে ৩৫ টি, বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নে ২৮,গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে ২১ টি, সুরখালি ইউনিয়নে ১৫ টি,ভান্ডারকোট ইউনিয়নে ৫ টি,বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে ২ টি ও আমিরপুর ইউনিয়নে ৮ টি।এর মধ্যে উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৩৫ টি পূঁজা মন্ডপের মধ্যে পড়েছে কেএমপির লবনচরা ও হরিণটানা থানা শাসিত অঞ্চলের ১৪ টি মন্ডপ ।

উপজেলার ১১৪ টি মন্ডপের মধ্যে চারটি ব্যক্তিগত কাম সার্বজনীন । এরা হলেন গোপাল গ্রুপ অব ইন্ডষ্ট্রারিজ’র স্বত্ত্বাধিকারী খুলনা-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল,সদরের ছিলিন্দামারী এলাকায় বরিশাল র‍্যাব – ৮ এর পুলিশ ইনস্পেক্টর টিআই সুৃমন বিশ্বাস’র বাড়ি , ১নং জলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধান রায়ের বাড়ি ও হেতালবুনিয়া অবঃ সহকারী শিক্ষক গৌর পদ আচার্য’র বাড়িতে।

অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য সার্ব্বর্জনীন পুঁজা মন্ডপের মধ্যে হলো বটিয়াঘাটা উপজেলা বাজার সদর সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, জগৎমাতা ছিলিন্দারী মন্দির, চক্রাখালী দঃপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির (মল্লিকের মোড়),চক্রাখালী গজালমারী সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, গঙ্গারামপুর পশ্চিম পাড়া,কৈয়া বাজার,শৈলমারী মাতৃৃ্মন্দির,তেঁতুলতলা,হোগলাডাঙ্গা,বরোআড়িয়া বাজার, সুখদাড়া,দেবীতলা,ফুলতলা নর নারায়ন মঠ,হাটবাটী মঠ,টালিয়ামারা,জয়পুর বাজার,ভাদালবুনিয়া,কুন্ডুপাড়া,কাতিয়ানাংলা,পালপাড়া, সুখদাড়া,সুন্দরমহল সার্ব্বজনীন পূঁজা মন্দির উল্লেখযোগ্য।

আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার দেবীর বোধন ও মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে ৫ দিন ব্যাপী দুর্গা উৎসব শুরু হবে । পরদিন শনিবার দেবীর ঘোটকে আগমন অর্থাৎ ফলম্ ছত্রভঙ্গমে।রবিবার শারদীয়া দেবীর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা,সোমবার মহানবমী বিহিত পূঁজা প্রশস্তা বলিদান ,পরদিন মঙ্গলবার দেবীর বিহিত পূঁজা সমপানান্তে বিসর্জন প্রসস্তা ও মহাবিজয়া। সাপ্তাহিক বিসর্জন মেলার দিন সাপ্তাহিক হাটবারের দিনে পড়ে যাওয়ায় উপজেলার সর্ববৃহৎ মেলা বটিয়াঘাটা বাজার নাট মন্দির দূর্গা মন্দির কমিটি পরদিন বুধবার বৃহৎ আনন্দ বিজয়া মেলার ঘোষণা দিয়েছে।

এছাড়াও মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী চক্রাখালী ময়দানে বিজয়ার দিনে মহাবিজয় মেলা ঘটবে। শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ইতিমধ্যে কুমারেরা প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ সম্পূর্ণ করে ভাস্করেরা রং তুলির কাজ ও পূজা মন্ডপ সাঁজের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন । এব্যাপারে ভাস্কর স্বপ্নীল সরকার ও উৎস মল্লিক এ প্রতিবেদককে বলেন,আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্টীর পূর্বে তা সম্পূর্ণ পূর্ণতা লাভ করবে ।

অপরদিকে পূঁজাকে ঘিরে মাদক, ছিনতাইকারী ও জালটাকা কারবারিরা আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে । এদিকে পূজাকে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে ডিজিএফআই, এনএসআই,সিটিএসবি, ডিবি, পুলিশ ও আনসার,র‍্যাব এবং সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিনরাত গোয়েন্দা নজর চালিয়ে যাচ্ছে।কোন প্রকার সংঘাত ও নাশকতা এঁড়াতে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্হা কঠোর নজরদারী চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ( পিপিএম সেবা) এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার,পুলিশ, এসবি, সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্হা মনিটরিং এ থাকবে।

তবে কতজন স্বসস্ত্র কিংবা অস্ত্রধারী থাকবে মিটিং না হওয়া পর্যন্ত এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক বিপিএম ( বার),পিপিএম-সেবা এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান,প্রতিটি পূঁজা মন্ডপে গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে।মাঠে অনেক বানিনী নিয়োজিত রয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *