বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম আকার ধারন করেছে। দিনে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা আবার সপ্তাহে দু দিন সকাল ৮ টা বিদ্যুৎ চলে যায় সন্ধ্যা ৬ টা আসে বিদ্যুৎ থাকেনা বলে জানিয়েছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
বিদ্যুৎতের লোড শেডিংয়ে কারনে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহতসহ নৈান্দন কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।
এলাকাবাসী জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড ও বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বন্দর জোনাল অফিস।
পল্লী বিদ্যুৎ দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুদিন ভালো সার্ভিস দিলেও বর্তমানে সেবার মান নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। দৈনিক ১০/১২ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে। এতে পড়াশনাসহ বিভিন্ন কাজ কর্মে বিঘ্ন ঘটছে। রোববার কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই প্রায় ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এ ছাড়া এখানে প্রতিদিন ১০/১২ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। এতে করে এক দিকে যেমন কাজ কর্মে বিঘ্ন ঘটছে অপর দিকে ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদন।
বিশেষ করে নবীগঞ্জ জোনের আওতাধীন এলাকার অবস্থা আরো খারাপ। দিনে এবং রাতের বেশির ভাগ সময় এখানে বিদ্যুৎ থাকে না। অতি মাত্রায় লোডশেডিংয়ের জন্য অথি লোভী এজিএম আব্দুল মজিদকে দায়ী করেছেন গ্রাহকরা। তারা আরো জানান, টাকার বিনিময়ে তিনি আবাসিক গ্রাহকদের লোডশেডিংয়ে রেখে শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ দিচ্ছেন।
এছাড়া কলকারখানায় নতুন সংযোগ দিয়ে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের নবীগঞ্জ জোনের এজিএম আব্দুল জমিদ জানান, বন্দরে মদনপুর মদনগঞ্জ সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারনের কাজ ছলছে। বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর করার কারনে দিনের বেশির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।