বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার গৃহবধূ তাবাচ্ছুম বিন তানহা আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামী পাষান্ড স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ আদমজীনগর ।

গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে ঢাকা মাওতাল এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং- ৬(১০)২৩ ধারা- ৩০৬ পেনাল কোড-১৮৬০।

গ্রেপ্তারকৃত বন্দর থানার ২৫নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে পাষান্ড স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু (৩০)। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা হইতে সকাল ৬টা মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ২৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকায় ওই আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে আত্মহননকারি গৃহবধূ মা নাছরিন বেগম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে পাষান্ড স্বামী ও শ্বাশুড়ীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার আসামীরা হলো বন্দর থানার ২৫নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে পাষান্ড স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু (৩০) শ্বাশুড়ী বানু বেগম (৫৫) একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমান মিয়ার ৪ ছেলে সোহেল (৪০) জুয়েল (৩৫) গিয়াস উদ্দিন (৬৫) ও আবুল কালাম (৪৫) এবং একই এলাকার সামছু মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭)।

মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে গত ১ বছর পূর্বে দক্ষিন লক্ষখোলা এলাকার মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম বাবু সাথে বন্দর তিনগাও এলাকার শাহানুর শিকদারের মেয়ে তাবাচ্ছুম বিন তানহা সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে উল্লেখিত বিবাদীদের কু পরামর্শে স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু গৃহবধূ তাবাচ্ছুমকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোন দিয়ে জানায় বাদিনী মেয়ে তাবাচ্ছুম মারা গেছে।

উক্ত সংবাদ পেয়ে বাদিনী পাষান্ড স্বামী বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে খাবার খেয়ে গৃহবধূ তাবাচ্ছুম ও তার স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু তাদের নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পরে। ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় স্বামী ঘুম থেকে জেগে দেখতে পায় তার স্ত্রী নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাদিনী বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনার দীর্ঘ ২৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার রাতে আত্মহননকারি গৃহবধূ মা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ্য বন্দর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করেন। বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *