বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ আফরোজা আক্তার সাকিবা নির্যাতনের মামলায় যৌতুক লোভী পাষান্ড স্বামী মোহাম্মদ রোমান (৩৩)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধৃত যৌতুক লোভী স্বামী মোহাম্মদ রোমান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার ইছহাক মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উক্ত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার শুভকরদীস্থ তার নিজ বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উল্লেখিত এলাকায় গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে নিযার্তিত গৃহবধূ বাদী হয়ে নির্যাতনকারি যৌতুক লোভী স্বামী রোমান ও তার বড় ভাই রুবেল, শ্বাশুড়ী ফরিদা, বড় ভাইয়ের স্ত্রী রোকেয়া ও ননদ স্বপ্না আক্তার ও রুপনা আক্তারকে আসামী করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৬৯৮/২০২৩ইং নং পিটিশন মামলা দায়ের করে।

পরে বিজ্ঞ আদালতের র্নিদেশে গত রোববার রাতে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ১২(১১)২৩। এদিকে মামলা দায়েরের ওই রাতেই বন্দর থানার এসআই রোকনুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স শুভকরদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌতুক লোভী স্বামী রোমানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও বাকি আসামীগন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা এলাকার আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে আফরোজা আক্তার সাকিবা সাথে একই উপজেলার একই ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার ইছহাক মিয়ার ছেলে রোমানের সাথে ৮ লাখ টাকা কাবিন মূলে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় গৃহবধূ পিতা আব্বাস উদ্দিন মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে স্বামী ও তার পিতার নিকট যৌতুক বাবদ নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০ ভড়ি স্বণার্লংকার, ঘরের ফার্নিচার, সুকেস, খাট, আলমারী, ড্রেসিং টেবিল বাবদ আরো ৫ লাখ টাকা ফার্নিচার প্রদান করে। গৃহবধূ আফরোজা স্বামী সংসার করা কালিন স্বামী বড় ভাই, মা, দুই বোন ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী প্ররোচনায় পাষান্ড স্বামী রোমান তার স্ত্রী নিকট ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উল্লেখিত আসামীদের প্ররোচনায় যৌতুক লোভী স্বামী রোমান আবারও গৃহবধূর নিকট ১০লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। গৃহবধূ যৌতুক দিতে পারবে না বলে জানালে ওই সময় পাষান্ড স্বামীসহ উল্লেখিত গৃহবধূকে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *