বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে মেরাজুল ইসলাম জয় হত্যাকান্ড ও তার বন্ধু আল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করার মামলার প্রধান আসামী ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীনসহ সকল আসামীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানিয়ে মানব বন্ধন করেছে ছালেহনগর ও রুপালী এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বন্দর প্রেসক্লাবের সামনে বৃহত্তম ছালেহনগর ও রুপালী এলাকাবাসী এবং নিহত মেরাজুলের বন্ধু মহলের উদ্যোগে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর ২১ নং ওয়ার্ডের ছালেহনগর পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি নেয়ামত উল্ল্যোহ সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ব্ক্তব্য রাখেন রুপালী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফরিদা বেগম, নার্গিস বেগম, নিহত মেরাজুলের পিতা আজহারুল ইসলাম এজাজ, নিহত মেরাজের স্ত্রী বেলী বেগম, সমাজ সেবক পিয়েল, ছালেনগর এলাকার সমাজ সেবক স্বপন প্রমুখ।

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, বন্দরে ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী পিংকি, বাবু, রাজুসহ অন্যান্য আসামীরা প্রকাশ্যে মেরাজুলকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার বন্ধু আল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে কুপিয়ে মারামক ভাবে জখম করে।

এ ঘটনায় বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও মামলার তদন্তকারি কর্মকতার্ এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী কাউন্সিলর শাহীন ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা মানব বন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে হত্যাকারী কাউন্সিলর শাহীনসহ সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

নিহত মেরাজুল এর পিতা আজহারুল ইসলাম এজাজ কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানানোর কোন ভাষা আমার নেই। আমি একজন দিনমজুর। আমরা অত্যান্ত নিরিহ মানুষ। আমার ছেলে মেরাজুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী কাউন্সিলর শাহীনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আমি নিরিহ বলে আসামীদের আত্মীয় স্বজনরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ছালেহনগর এলাকার শুভ, আলম, নিরব, রাজিব, ইমরান, সাগর, পায়েল, রতন, তানভির, সোহান, রাজিব, ফরহাদ, মোঃ ফারুক, লিটন মোল্লা, আউয়াল, সাহিদা বেগম, ফারজানা বেগম, তুলি বেগম, আনোয়ারা, মুন্নী, সুলতানা বেগম, রাশিদা বেগম, জাকির হোসেন, মোঃ জনি, মারজান,শান্ত, ফালান মিয়া, তাহের, সাহাদাত, সালাউদ্দিনসহ প্রায় ৫ শতাধিক নারী পুরুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *