বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ৩ লাখ টাকার চাঁদার দাবিতে সোনারগাঁয়ের প্লাম্বার ও ইলেকট্রিক ঠিকাদার লিটন (৪৬)কে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই সময় চাঁদাবাজরা ভূক্তভোগী ঠিকাদারের কাছ থেকে মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা সাড়ে ৩২ হাজার টাকা, ১টি মোবাইল সেট, ২টি রুপার আংটি ও বিকাশ হইতে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা ট্রেন্সেফার করে নিয়ে যায়। গত রোববার (১৫ জানুয়ারী) আহত ইলেকট্রিক ঠিকাদার ভূক্তভোগী লিটন মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রবিউল, জনি মোশারফসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং- ২১(১)২৩ ধারা- ১৪৩/ ৩৪২/ ৩৮৫/ ৩৮৬/ ৩৭৯/ ৩২৩/ ৩২৫/ ১১৪/ পেনাল কোড- ১৮৬০। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর উপজেলার তিনগাও পশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) সোনারগাঁ থানার শুকরদী এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে লিটন পেশাগত কারনে বন্দর থানাধীন ডকইয়ার্ডে আসে।
ওই দিন কাজ শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় ইলেকট্রিক ঠিকাদার লিটন মিয়া অটো মিশুক দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বন্দর তিনগাও পশু হাসপাতালের সামনে আসলে ওই সময় উৎপেতে থাকা নবীগঞ্জ অলিম্পিয়া এলাকার শওকত মাষ্টারের বাড়ি ভাড়াটিয়া মৃত আম্বর আলী মিয়ার ছেলে চাঁদাবাজ রবিউল, নবীগঞ্জ বাসস্ট্যঅন্ড এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে জনি, নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকার মৃত আব্দুল সামাদ সরদার মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন, কুশিয়ারা পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত কালু সরদারের ছেলে বাবু ও নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকার সুমনসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ উক্ত মিশুক গাড়ীটি গতিরোধ করে।
পরে উল্লেখিত চাঁধাবাজরা চোখ ও হাত পা বেঁধে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে কুশিয়ারা বিলে নিয়ে যায়। পরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, ২টি রুপার আংটি ও বিকাশের মাধ্যমে নগদ টাকা উত্তেলন করে আমার স্ত্রী নিকট ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী ও ছেলে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী লিটন মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকতার্ আব্দুল বারেক হাওলাদার জানান, প্লাম্বার ও ইলেকট্রিক ঠিকাদার জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।