বন্দর প্রতিনিধি:
ঐতিহ্যবাহী বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নব গঠিত এডহক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ, ১ ম আদালত নারায়ণগঞ্জ এ দেওয়ানী মোকদ্দমা নং – ১১০/২০২৩, তাং – ৩০/০৪/২৩ ইং দায়ের করে সাবেক সদস্য মোঃ সুলতান খানগং।
উক্ত দেওয়ানী মোকদ্দমায় বাদীপক্ষের অত্র অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত না মঞ্জুর করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ভুঁইয়া। গত ২৩ মে এই আদেশ প্রদান করেন বিচারক। এর আগে গত ৩১ মার্চ ২০২৩ ইং বিগত কমিটির মেয়াদ কাল শেষ হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক গত ৩ মে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ৭ মে উৎসবমুখর পরিবেশে এডহক কমিটির দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে।
অপর দিকে উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে সভাপতি ও সম্পাদককে বিবাদী করে আদালতে উল্লেখিত দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করে। দাখিলী দরখাস্ত ও নথি পর্যালোচনায় আপত্তি দাখিল পর্যন্ত বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে জবংঃৎধরহরহম (সংযম) এর আদেশ দ্বারা বারিত করেন বিচারক। এ আদেশ পেয়ে বাদী মোঃ সুলতান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী নাসির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশারফ খান, কাজী জহিরুল ইসলাম, ও মোঃ সাইফুল ইসলামগং শিক্ষক/শিক্ষকাবৃন্দের নিষেধ উপেক্ষা করে অত্র বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায় এবং শিক্ষক/শিক্ষিকাদের লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় এডহক কমিটির আহবায়ক মোঃ কুতুবউদ্দিন খান উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার থানার এস আই মোঃ আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষর অফিস কক্ষে আসেন। আদালতের ২৩ মে’র সিদ্ধান্তর অনুলিপি পরে দেখেন। এসময় বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে উপস্থিত থাকা সুলতান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশারফ হোসেন খান, কাজী জহিরুল ইসলামগংদেরকে অধ্যক্ষর অফিস কক্ষে ডেকে আনেন।
এসময় এডহক কমিটির আহবায়ক মোঃ কুতুবউদ্দিন খান, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রোখসানা বেগম (সম্পাদক), এডহক কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা হাসনাত রহমান বিন্দু, সদস্য কাজী রাসেল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ অসাদুজ্জামান বিবাদী কাজী জহিরুল ইসলামগংদেরকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করলে সুলতান খানগং বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যায়। পরে আহবায়ক উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন। উল্লেখ্য, এডহক কমিটির বিরুদ্ধে থাকা সদস্যদের ছেলে-মেয়ে অত্র বিদ্যালয়ে না থাকলেও পেশীশক্তির বলে কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশকে বারবার অশান্ত করে তুলছেন।