কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।

বিগত, ২০১৭,সালে, পশ্চিম বাংলার মালদহ জেলার বড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েত কে ভয়াবহ বন্যার ত্রানের জন্য পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রায় ৪০,কোটি, টাকা পাঠানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য। কিন্তু সেই টাকার প্রায়, ৪0,কোটি, টাকার মধ্যে, ১0,কোটি, টাকা আত্মসাৎ করে বড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রধান।

তার বিহিত চেয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ রিট আবেদন করেন।
এবং এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এর প্রধান বিচারপতি শ্রী রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি শ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পশ্চিম বাংলা সরকারের আইনজীবী শ্রী কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা কোথায় গেল এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা কেন তাদের সাহায্যের টাকা ফেরত পেলেন না।

এবং মালদহের বড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা লোপাট করেছেন তার বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন বা ঔ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে, ৪২,নম্বর, ধারা প্রয়োগ করে ডাকা হয় নি তার কৈফিয়ত চায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চান তার বিরুদ্ধে কেন বা রাজ্যে সরকার পুলিশের কাছে এফ আই আর করেনি তার ব্যাক্ষা দিতে হবে।

তখন পশ্চিম বাংলা সরকারের আইনজীবী ও এডভোকেট জেনারেল শ্রী কিশোর দত্ত বলেন ঔ টাকা উদ্ধার করতে বড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এর বিরুদ্ধে শো কাজ করা হয়েছে। এবং ইতিমধ্যেই টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিম বাংলা সরকারের আইনজীবী ও এডভোকেট জেনারেল শ্রী কিশোর দত্ত কে বলেন সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা পয়সার নিয়ে যখন দুর্নীতি হল তখন সরকার কি ঘুমিয়ে ছিল। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা পয়সার ফিরিয়ে দিতে হবে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

সেই সঙ্গে এই মামলার শুনানি আগামী, ৮,ই, সেপ্টেম্বর ফের শুরু হবে। তার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা পয়সার ফিরিয়ে দিয়েছেন কি না তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।এর আগে আমপান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা পয়সার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কড়া ব্যাবস্থা নেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *