আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’।

আজ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চার দিনব্যাপী ঠাকুুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠ প্রাঙ্গণে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা পর্যায়ে প্রায় ৩০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে।

নতুন প্রজন্মকে জাতির সঠিক ইতিহাস জানানোর পাশাপাশি বই পড়ার মাধ্যমে আলোকিত, জ্ঞাননির্ভর, সংস্কৃতিমনস্ক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বইমেলা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাঁর দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।

তিনি বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান-ভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা, সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, একটি সহনশীল, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ এবং সর্বোপরি জনসাধারণের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা সম্ভব।

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যের জগতকে প্রেরণা জুগিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত অসংখ্য বই এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা বই তরুণ প্রজন্মকে নিরন্তর অনুপ্রেরণা দেয় বলেই মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই রকমের একটি বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আনন্দ আয়োজনের সাথে মুজিববর্ষের মিলিত আয়োজন আমাদের জন্য আগামীতে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এসব আয়োজন একদিকে গৌরবের, অন্যদিকে স্মৃতিময় ও উৎসবমুখর। তরুণ প্রজন্মও ব্যাপকহারে এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হয়েছেন, যা আনন্দের। তারা এখন বঙ্গবন্ধুর বইগুলো পড়ছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠে তাদের আগ্রহ বাড়ছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাস থেকে পাঠ নিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশের কুশীলব হিসেবে তরুণ প্রজন্ম আবির্ভূত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উক্ত বই মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ; বীরমুক্তিযোদ্ধা; রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ; বিভিন্ন স্কুল/কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকমন্ডলী এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *