কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।
ভারতের বিজেপি দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মা সম্প্রতি একটি মিডিয়া চ্যানেলে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য কে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা ভারতের বিভিন্ন যায়গায়। কোথাও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় পুলিশ বাহিনীর হিশমিস খেতে হচ্ছে।
ভারতের দিল্লি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। নূপুর শর্মা কে গ্রেপ্তার এবং ফাসির দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুসলিম ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের আঘাত এতটাই যে প্রকাশিত করা যাচ্ছে না। কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মহিলারা। সেই সাথে গতকাল থেকে হাওড়া জেলার বিভিন্ন যায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বন্ধ করা হয়েছে ইনটারনেট পরিষেবা। বহু যায়গায় দোকান পাট ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালানো হয়। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে মাইকিং করে আবেদন করছে পুলিশ প্রশাসন। গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ডায়মন্ডহারবার মহাকুমার শাসক শ্রী মিতুন কুমার দের নেতৃত্বে উস্হি থানার অফিসার জনাব মাজ্জান সাহেব এবং সজল বাবুর সহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে উস্হি থানার অন্তর্গত দেউলা গাজীর মোড়ে শত শত মুসলিম ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের বিভিন্ন যায়গার ইমাম সাবেক এবং মসজিদ কমিটির মাতোওয়ালীরা।
এছাড়া এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের সভাপতি ইমরান মোল্লা ও মগরাহাট পশ্চিমের মাইনরিটি তৃনমূল দলের কনভেনার তৌফিক মোল্লা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তৃনমূল দলের আইনজীবী সেলের সদস্য এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার লিগ্যাল অথোরিটি সেলের সদস্য মিকাইল মোল্লা এবং জাকির হোসেন মোল্লা ও বর জাহান মোল্লা এবং তৃনমূল দলের অন্যতম সদস্য জুব্বার মোকামী এছাড়াও তৃনমূল দলের জয়হিন্দ বাহিনীর প্রধান কাজী ইমতিয়াজ ওরফে টকি। প্রত্যোকেই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেন। এবং পুলিশ প্রশাসন কে তাদের কাজ করতে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানান।।