বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
নিজস্ব প্রতিবেদক : শার্শা উপজেলার ৩নং বাহাদুরপুর ধান্যখোলা গ্রামের মেন্দের টেক বাওর সংলগ্ন কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে আশা নামে এক ভূমিদস্যু। সে মাটি স্থানীয় বোয়ালিয়া বাজারে অবস্থিত অর্নব ব্রিক্সে বিক্রি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে সাংবাদিকরা গেলে সেখানে তাদের আটকে রেখে শরীরক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে ভূমিদস্যু আশা সহ সহযোগী কয়েকজন। মাটি উত্তোলনের ছবি ও ভিডিও করলে তাদের নিকট থেকে মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। ভূমি দস্যু ধান্যখোলা এলাকার ত্রাস আনু কামারের ছেলে আশা ও তার বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (০৮ ই এপ্রিল) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার ৩ নং বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন মেন্দের টেকের পাশে এ ঘটনা ঘটে। দৈনিক সকালের সময় শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি সুমন হোসেইন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন মেন্দের টেকের পাশ থেকে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে তা দেখতে আমি এবং আমার সহকর্মী ৩ জন সাংবাদিক সহ সেখানে উত্তোলনের ছবি তুলি! এবং মাটিবাহী ট্রাক্টর চালকের নিকট জিজ্ঞেসা করি কে বা কারা মাটি উত্তোলন করছেন। তখন দুর হতে খালি গায়ে এক ব্যাক্তি সহ বেশকয়েজন আমাদের কাছে এসে বলে “ছবি তুললি কেন তোর কে ছবি তোলার অনুমতি দিছে” বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং মোবাইল ক্যামেরা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। সে বলে আমার এলাকায় তোদের ঢোকার পারমিশন কে দিছে। তোদের মত সাংবাদিকদের মাটিতে পুতে রাখবো তাহাতে কোন খবর হবে না এসব বলে আমাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন আশা ও তার সন্ত্রাশী বাহিনীর বাবলু,সুমন, সহ অরোও ৮/১২জন। তারপর তারা আমাদেরকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে এবং ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলার জন্য সাথে থাকা ক্যামেরা ও স্টান্ড অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করে নিয়ে যান এবং তার বডিগার্ড দিয়ে আমাদেরকে তাদের এলাকা থেকে বাহির করে দেওয়া হয়। এসময় তারা আরো বলে বেনাপোল থানায় তোদের কোন বাবা আছে তাদেরকে বল গিয়ে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদেরকে গ্রেফতার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এবিষয়ে সাংবাদিক মহল দ্রুত আইনি সহায়তা কামনা করছে এবং ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত ভূমি মুক্তির দাবি করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *