মোঃ নজরুল ইসলাম খান,সংবাদ দাতা:
৫ অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার তিতাস বিধৌত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত-সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ও সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

কাঙ্খিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা” স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীগণ বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ যথাযথ সম্মানের সাথে পালন করেছে। বেলা ১১টার সময় কলেজ থেকে র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান সড়কগুলো পর্যবেক্ষণ করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুারাল মুক্তির দিশারীর পাদদেশে এসে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায় ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের মান্যবর অধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলাম সুযোগ্য উপাধ্যক্ষ জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, শিক্ষক পরিষদ এর সম্পাদক প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আবু ছালেহ মোহাম্মদ নঈম উদ্দীন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর দিলারা আক্তার খান, শিক্ষক পরিষদ এর যুগ্ম সম্পাদক জনাব ফারজানা তাসমিন, প্রফেসর মোঃ খালেদ হোসেন খান, প্রফেসর মোঃ মনির আহম্মদ, জনাব আব্দুল কাদের আলম শাহ, জনাব মোঃ বন্দে আলী,জনাব রাখাল গোপ, জনাব মোঃ মিজানুর রহমান,জনাব মির্জা গালিব রুমি, জনাব মোঃ রমজান আলী, জনাব মোহাম্মদ ইসহাক ছায়েদী, জনাব মাহমুদুর রহমান ভূঞা, জনাব মোহাম্মদ আবু হানিফ,জনাব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জনাব মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, জনাব আব্দুল খালেক, জনাব মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, জনাব আব্দুর রহমান মোল্লা, জনাব মোঃ আনারুল ইসলাম, জনাব মোঃ নাছির উদ্দিন,জনাব হাবিবুর রহমান খান, জনাব মোঃ আলা উদ্দিন, জনাব মোঃ জমির উদ্দিন,জনাব মোঃ মেহেদী হাসান, জনাব মোঃ নাজমুল হাসান সালেহ, জনাব মোঃ রাজন মিয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনকালে বক্তৃতায় অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন- দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে হলে অবশ্যই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে জিডিপির সর্বনিম্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করা হচ্ছে। ইউনেস্কোর মতে একটি দেশে মোট জিডিপির ৫ থেকে ৬ শতাংশ ব্যয় করার কথা বলা হলেও সেখানে আমাদের দেশে জিডিপির ১.৭৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয় চীন তারপর থাইওয়ান, হংকং ও রাশিয়া। তাই বলতে পারি শিক্ষকদের মর্যাদা যদি সঠিকভাবে দেয়া যায় তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।

উপাধ্যক্ষ মহোদয় বলেন- শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিতে পারলেই ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তাই দেশে সুনাগরিক ও দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে হলে অবশ্যই শিক্ষকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *