বৃদ্ধা মাকে মারধর ও নির্যাতন করার অভিযোগে সন্তানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

আসামীর বর্তমানে ফতুল্লা থানা এলাকায় বসবাস করায় ফতুল্লা থানা পুলিশকে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আদালত।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজলার গোদনাইল দক্ষিণ এনায়েতনগর এলাকার সামসুল ইসলাম ভুইয়ার স্ত্রী বৃদ্ধা নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে তার পুত্র নুর রহমান ভুইয়া মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর আদালত বৃদ্ধা নুর জাহানের উপর তার কুলাঙ্গার ছেলের নির্যাতনের বর্ণনা শুনে সাথে সাথে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে।

মামলা এজহারে নুরজাহান উল্লেখ করেন, তার ছেলে মামুন একজন মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য সে প্রায়ই তার মা ও পরিবারের লোকজনকে নির্যাতন করে। এছাড়া বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী মানুষ মামুনের প্রতারণা বিচার তার পরিবারের কাছে দিলে একাধিক সালিশ করলে টাকা পয়সাও পরিশোধ করে মামুনকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

কিন্ত এভাবে মাদক গ্রহণ ও প্রতারণার কারণে এক সময় পরিবার থেকে আলাদা হয়ে পাশ্ববর্তী ফতুল্লার কুতুবপুর ওয়াবদারপুল এলাকায় বসবাস শুরু করে মামুন।

তবে মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই নুরজাহানের বসতবাড়িতে গিয়ে হামলা ভাংচুর করে।

সর্বশেষ গত ৫ জুলাই বাসায় ঢুকে বৃদ্ধা মা নুরজাহানকে বেদম মারধর করে এবং ঘরে থাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬০ হাজার টাকা,মোবাইল ফোনসহ লুট করে নিয়ে যায়।

বৃদ্ধা নুরজাহানের পরিবারের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মামুনের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। শুধু তাই নয় তার প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপকর্মের কারনে তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারেনা। মানুষের সাথে প্রতারণা করাই যেন তার নেশা হয়ে দাড়িয়েছে। এখন বৃদ্ধা মাকে মারধর ও করে।

এদিকে মামুনের বিরুদ্ধে হামলা ভাংচুরের অভিযোগে তার আরেক ভাই নুর মোহাম্মদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে অভিযুক্ত নুর রহমান ভুইয়া মামুন তার বিরুদ্ধে মায়ের মামলা ও আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রসঙ্গে জানান, আমি আগে অভিযোগের কপি হাতে পেয়ে নেই, তারপর আমি আমার উকিলের সাথে পরামর্শ করে আপনাকে বক্তব্য দিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *