নিজস্ব প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পঞ্চান্ন বছর বয়স্ক বৃদ্ধা জরিনা বেগমকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তিন দিন পর থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বামী নূর আলী বাদী হয়ে দুই জনকে আসামী করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা গোবিন্দপুর এলাকায় তার নিজ বসত বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। বর্তমানে তিনি মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় এ মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হুর আলী নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এএসআই শ্যামা প্রসাদ রায় জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হুর আলীকে মামলা দায়েরের প্রথম দিনই নওদা গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী নূর আলী জনান,গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল এগারোটার দিকে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার মৃত আফাজ্জেল প্রামাণিকের ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে হুর আলী ও তার স্ত্রী আরেনা পারভিন তার বসত বাড়িতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।এসময় তার স্ত্রী জরিনা বেগম (৫৫)বাধা দিতে এলে মাথায় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হুর আলী তার স্ত্রী । পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জরিনাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এঘটনার তিনদিন পর হুর আলী ও তার স্ত্রী আরেনা পারভিনকে আসামী করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, মালার প্রধান আসামী গ্রেফতার হলেও প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকী দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *