আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ
(ইউপি) নির্বাচনের ঢেঁর বাঁকি এখানো ঘোষণা হয়নি তফসিল তার পরেও বইছে নির্বাচনের আগাম হাওয়া জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা।এদিকে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু কেবলমাত্র চেয়ারম্যান পদ ঘিরেই আর্বতিত হচ্ছে।
বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন কে সেটিই মুল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
কারণ বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা নানামুখী অনিয়ম-দুর্নীতি ও উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ইমেজ সঙ্কটে পড়েছেন।
এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে অনেক আগেই ত্যাগ করেছে, পাশাপাশি তৃণমুলের নেতাকর্মীরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, এতে চরম সংকটে তার দলে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জনি এই সুযোগে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে
গভীর সখ্যতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেছেন। ফলে মোহনপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার দৌড়ে এগিয়ে থেকে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। এসব বিবেচনায় তিনিই পাচ্ছেন নৌকার টিকেট এটা প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা করোনা দুর্যোগে এলাকায় মানবিক ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ, এলাকার উন্নয়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে আর্থিক অনুদান প্রদান, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে আলোচনায় উঠে আশা ও ভোটারদের দৃস্টি আকর্ষণের চেস্টা করছে।
এদিকে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আর্দশিক, তরুণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন নেতৃত্ব জয়নাল আবেদীন জনি। ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর যে ধরণের রাজনৈতিক,সামাজিক,পারিবািরক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বগুন ইত্যাদি প্রয়োজন সেই সব গুনের অধিকারী সম্পন্ন প্রার্থী জনি। এসব বিবেচনায় নির্বাচনের মাঠে জনি অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সমর্থনে প্রার্থী হলে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত জনিকে মনোনয়ন দিয়ে
উচ্চ বিত্তশীল ও সমৃদ্ধ পরিবার থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, আর্দশিক, তরুণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থী দিতে চলেছে আওয়ামী লীগ সবাই এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন
মোহনপুর ইউনিয়নের মতো জায়গা থেকে জনির নেবার কিছু নাই,তবে দেবার অনেক কিছুই আছে ইতমধ্যে তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে সেটার প্রমাণ দিতেও সক্ষম হয়েছেন। এদিকে ইদ পরবর্তী সময়ে ইউপির বিশ্বনাথপুর, কাপাশিয়া, জৈষ্ঠাবটতলা,দরগাপাড়া, চাঁদলায় ও হাটগোবিন্দপুর এলাকায় ইদ শুভেচ্ছা বিনিময়, গণসংযোগ ও মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।