আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার চতুর্থ পযার্য়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২১০টি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ ঘর বৃহস্পতিবার উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা উপজেলা পরিষদ হলরুমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সারা দেশের ন্যায় রাণীশংকৈল উপজেলার ২১০টি ঘর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন বাড়ী নির্মাণের কাজ অসমাপ্ত রেখেই ২১০টি ঘর উদ্বোধন করান।
ঘর উদ্বোধন হলেও ওই দিন পর্যন্ত অনেক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের কাজ চলছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার দিনই উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও। উপজেলা প্রশাসন কাজ সমাপ্ত না করতে পারা বাড়ীগুলো বুঝিয়ে দিতে পারেনি।
এছাড়াও আশ্রয়ণের বাড়ীগুলোতে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন কিংবা পানির টিউবওয়েল স্থাপন হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের।
পরে তারা তড়িঘড়ি করে গতকাল বৃহস্পতিবার আশ্রয়নের ঘর বুঝিয়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার লেহেম্বা ইউনিয়নে ২৬টি ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা তোহিদা বেগম।
তিনি জানান,ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ চলমান রয়েছে, টিউবওয়েল খুব শিগগির স্থাপন হবে।
একইভাবে নন্দুয়ার ইউনিয়নের মুনিষগাঁও এ মোট ৬৭ টি ঘর মধ্যে ৩৪টি বাড়ী বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ লাইনের ব্যবস্থা এখনো হয়নি।
ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান,তার এলাকায় মোট ১২৪টি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ইন্দ্রজিত সাহা নিজে গিয়ে নেকমরদ ইউনিয়নের চামারদিঘী এলাকার মোট ২৬টি বাড়ীর মধ্যে ২০টি বাড়ী উপকারভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অবশিষ্ট বাড়ী ৬টি বাড়ীর নির্মাণ কাজ শেষ হলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
নন্দুয়ার ইউনিয়নের উপকারভোগী রাজিয়া ইসলাম বাড়ী বুঝে পাওয়ার পর বলেন, এখনো টিউবওয়েল পুতেঁনি। বিদ্যুৎ নাই তাই এগুলো সব হওয়ার পর বাড়ীতে উঠবো।
শরিফা বেগম বলেন, ঘরতো পেলাম কিন্তু এখনো অনেক কাজ বাকী আছে এগুলো শেষ করলে তবেই বাড়ীতে উঠবো। আপাতত ঘর বুঝে নিয়ে তালা দিয়ে যাবো।
প্রতিবন্ধি আব্দুস ছাত্তার বলেন, ঘর পেয়ে আমি খুশি, তবে এখনই বাড়ীতে উঠা যাচ্ছে না। কারণ বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা এখনো সরকার করে দেয়নি। আপাতত শুধু বাড়ী বুঝিয়ে দিল। এগুলো স্থাপন করার পর বাড়ীতে উঠবো।
রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ২১০টি বাড়ী মধ্যে বৃহস্পতিবার মোট ১০৪টি বাড়ী ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট বাড়ীগুলোও খুব শিগগির বুঝিয়ে দেওয়া হবে।