আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোঁর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী গ্রামে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় সেই যুবকের শ্বশুর করিমুল ইসলাম(৩৫) শ্বাশুড়ি সেলিনা আকতার(৩০) চাচা শ্বশুর জবদুল(৫০) মামা শ্বশুর রাব্বুল হোসেন(৪৫) মামি শ্বাশুড়ি মরিয়ম(৩৮)সহ মোট ৫জনের নামে গত শুক্রবার রাতে রাণীশংকৈল থানায় মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিত যুবক নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান।

মতের অমতে শ্বশুর করিমুলের মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভাংবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের কাঠাঁল গাছে বেধেঁ এক যুবককে লোহমর্ষক নির্যাতন চালানোর ঘটনাটি প্রায় তিনদিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে পুলিশের। তারা শুক্রবার দুপুরে ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত যুবক নাসিরুল ইসলামের শ্বাশুড়ি সেলিনা আকতারকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

সেলিনা আকতার আটকের আগে সাংবাদিকদের বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর নাসিরুল আমার মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাসে ছেলে মেয়েকে ঢাকা থেকে ফেরত নিয়ে আসা হয়। তবে আমরা নাসিরুলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবো না। জানিয়ে দিলেও নাসিরুল আমাদের বাড়ীর আশপাশ ঘুরঘুর করে। তাই তাকে ধরে মেরেছি। সেলিনা আকতার অকপটে শিকার করেন হ্যা তাকে গাছে বেধেছিলাম তবে তেমন মারপিট করেনি। ভিডিওতে মারপিটের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে প্রশ্নে তিনি নিরব থাকেন।

এদিকে থানায় মামলা দায়েরের এজাহার উল্লেখ্য করা হয় নাসিরুলকে সংঘবদ্ধ ভাবে আটক করে গাছের সাথে বেধে লোহমর্ষক মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়। তাছাড়া বুক পকেটে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা ও একটি স্মাট ফোন নিয়ে নিয়েছে নাসিরুলের শ্বশুর করিমুলের লোকজন। নাসিরুলকে অমানবিক ভাবে শারীরিক আঘাতের পাশাপাশি অন্ডকোষে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার নাসিরুল ইসলাম(২৬) এবং তার ভাই কুদ্দুস দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। অবস্হার অবনতি হলে আজ তাদের রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(এস আই) প্রদীপ গতকাল শনিবার মুঠোফোনে বলেন, নাসিরুলকে নির্যাতনের ঘটনায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও আদালতে সোপদ্দ করা হয়েছে। বাকী এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *