আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
বরিশালের ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র মুক্তি ও প্রতিমা ভাঙচুর, নির্যাতন নিপীড়নের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপাী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রাণীশংকৈল পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ছবিকান্ত দেব এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক, বাচোর ইউনিয়ন সভাপতি সুকদেব, রাতোর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ছতিস চন্দ্র, লেহেম্বা ইউনিয়ন সম্পাদক নির্মল চন্দ্র, ধর্মগড় ইউনিয়ন পুজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল,নন্দুয়ার ইউনিয়নের পুজা মহাজোটের সাবেক সভাপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়, জ্যোতিষ চন্দ্র রায় কাশিপুর ইউনিয়ন সভাপতি, গোবিন্দ সাহা বাচ্চু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাকর্মীসহ সমর্থকেরা।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সম্পাদক ৫৪ মন্ডপ কমিটির সভাপতি সম্পাদক সহ সকল সদস্য মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হবে। ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, লুটপাট, নির্যাতন করা হচ্ছে। সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্যাতন দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই স্বাধীন দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর দমন নিপীড়ন মোটেই কাম্য নয়। একটি অপগোষ্ঠি দিনদিন ধর্মের নামে মানুষকে হত্যা করছে। যারা ধর্ম অবমাননার গুজব তুলে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতারা।
বক্তারা আরো বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালগুদের ওপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে কিন্তু হামলার যথাযথ বিচার হচ্ছেনা,ফলে এতে অনুপ্রেরণা ও আস্কারা পেয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশ ও মানুষ বাঁচাতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় না আনায় প্রতিমা ভাংচুর, নির্যাতন নিপীড়ন বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বক্তারা ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে’র মুক্তির দাবি জানান।
এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কুচক্রি মহলকে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন
কর্মসূচিতে তারা।