আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে“সমলয়” পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

বুধবার (২৮ জুলাই) রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার কাশিপুর এলাকায় এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও চারা রোপন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) প্রীতম সাহা,শাহারিয়ার আজম মুন্না চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ রাণীশংকৈল,
সঞ্জয় দেবনাথ কৃষি অফিসার রাণীশংকৈল
এস এম জাহিদ ইকবাল অফিসার ইনচার্জ রাণীশংকৈল,
আবদুর রউফ ৬নং কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রমুখ।

আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসক ও অন্য অতিথিবৃন্দ রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে মাঠে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করার পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। সেখানে উপস্থিত কৃষদের এই পদ্ধতিতে রোপা আমন সহ সকল ধানের চারা রোপনের জন্য উৎসাহিত করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এই দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাই আমাদেরকেও কৃষিতে এগিয়ে যেতে হবে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে খুব দ্রুত অল্প সময়ে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব। তাছাড়াও খরচ অনেক কম এবং লোকবল খুব কম প্রয়োজন। আর এই পদ্ধতিতে ধান রোপন করলে ধানের ফলনও অনেক ভালো হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, এ পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকের যেমন সময়, শ্রম ও খরচ বাঁচবে তেমনি উৎপাদনও হবে বেশি। এতে লাভবান হবেন কৃষকরা। সমলয় পদ্ধতি হলো সবাই মিলে একসঙ্গে একই সময়ে একই জাতের ধান রোপণ করা।

এ পদ্ধতিতে ধান আবাদ করতে হলে চারা তৈরি করতে হবে ট্রেতে। ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয় কম হবে। চারা রোপণ করতে হবে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে। এতে সব চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। জমিতে সার ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে একই সময় একসঙ্গে। একসঙ্গে রোপণ করায় সব ধান পাকবেও একই সময়ে। তখন হারবেস্টার মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটতে হবে। ধান মাড়াই ও বস্তাবন্দীও করতে হবে একসঙ্গে একই সময়ে।

এ পদ্ধতিতে প্রতি বিঘায় চারা তৈরি থেকে রোপণ পর্যন্ত সর্বোচ্চ খরচ হবে ৫০০ টাকা। আর পাকা ধান কম্বাইন্ড হারবেস্টার দিয়ে কেটে মাড়াই ও বস্তাবন্দী করতে এক বিঘা জমিতে খরচ হবে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা।

কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন এসব জমি এসময় ফেলে রাখা হতো । সমলয় চাষে স্বল্পসময়ে অল্প খরচের মাধ্যমে যে জমি অসময়ে ফেলে রাখা হতো সে জমিগুলোতে একটি ফসল বেশি করে চাষ করা যাবে। এবং ১১০ দিনের মধ্যে এ ধান কাটা যায়, এ সমলয় চাষে কৃষকরা উপকৃত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *