আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র মিলেছে।

শিবদীঘি কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় বাজার করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। কাঁচা বাজারের জন্য পরিবারের মাসিক ব্যয় মেটানো কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।

নেকমরদ বাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন জানান, প্রায় সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প পুঁজির দোকানে চাহিদা মতো পণ্য ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

পৌরশহরের খালেক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক খালেক জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে হোটেল ব্যবসায় ধস নেমেছে। চাল, গ্যাস, মাংসের পাশাপাশি পেঁয়াজসহ মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যবসায় আয় হচ্ছে না। তিনি জানান, তাঁর এ ব্যবসায় প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কেজি পেঁয়াজ প্রয়োজন। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতিদিন শুধু পেঁয়াজে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ অবস্থায় খাবারের মূল্য বাড়ানো ছাড়া ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।

শিবদীঘি বাজারের আড়তদার কবিরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাতের ফলে পেঁয়াজের খেত ক্ষতিগ্রস্ত ও ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। তবে রবিবার পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ৪-৫ টাকা কমেছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে এ পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

পাইকারি আড়তদার আমিনুল ইসলাম বলছেন, ‘ঠাকুরগাঁও মোকামে দাম বেড়েছে। আমরা যেমন দামে কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। আর বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের খেতে ক্ষতি হয়েছে। ফলে সরবরাহ কমে গেছে, এ জন্য দাম বাড়ছে।’

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কৃত্রিম সংকট নিরসন ও রমজানকে সামনে রেখে বাজার তদারকি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ শাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বাজার তদারকি বাড়িয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *