আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে করছে কৃষি বিভাগ।

রোববার (১০ এপ্রিল) আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রোববার বিকালে শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার নেকমরদ বাজার, গন্ডগ্রাম, যদুয়ার, ভবানীপুর, চন্দনচহট, দুর্লভপুর, পারকুন্ডা, ফরিদপাড়া রাতোর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘর বাড়ি, ধান ক্ষেত,ভূট্রা ক্ষেত, আম বাগান সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে এসব উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, বাসাবাড়ি, ফসলের মাঠেসহ বিভিন্ন জায়গায় শিলা জমে থাকতে দেখা যায়। তাছাড়াও অনেকের ঘরের টিনও ফুটা হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় পথচারী লোকমান আলী বলেন, সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। দুপুর তিনটার পর থেকে আকাশ কালো হতে থাকে। সাড়ে তিনটার সময় শিলাবৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই পরিবেশ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। শিলাবৃষ্টির কারণে ঘরের টিন ফুটা হয়ে গেছে। মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভবানীপুর গ্রামের কৃষক এনামুল মাষ্টার বলেন, “পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা, মরিচ ও ৩০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আধাঘণ্টা ধরে এই শিলাবৃষ্টি হয়। এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাগুলো অনেক বড় বড় ছিল।

রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ফুটানি টাউন গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এক একর জমিতে আমের বাগান ছিল। ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল ছিল প্রায় ১০ বিঘা জমিতে। শিলাবৃষ্টির কারণে এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। “আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলা পড়তে দেখা গেছে। সবজি, মরিচ, ভুট্টা, ধান, আম, লিচুর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার করছি। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *