আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল( ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার এক সময় গ্রামের মেঠোপথের দুইপাশে, কৃষি জমিতে আর বাড়ির পাশের ঝোপে জঙ্গলে কচু দেখা যেত। তখন হাটে বাজারে কচু শাক বিক্রিও হতো। কিন্তু এখন সেই চিরচেনা কচু গাছ চোখে পড়ে না।

এখন হাট-বাজারে সবজির পরসায় নেই আগের মত পুষ্টি সমৃদ্ধ কচু। মেঠোপথ ও কৃষি জমিতেও চোখে পড়ে না কচু। যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সবজি। অথচ রাণীশংকৈলে মানুষদের খাদ্য তালিকার একটি সুপরিচিত নাম ‘কচু’ শাক।

আগে দেখা গেছে স্থানীয়রা কচু শাক হিসেবে খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই কচু সংগ্রহ করে হাটে-বাজারে বিক্রিও করেন।

গ্রাম থেকে শহর, এখনো সবখানেই কচুর কদর রয়েছে। সব বয়সি মানুষের পছন্দের খাবার এটি। কচুর কাণ্ড সবজি ও পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে এর কাণ্ড ও পাতাজুড়ে।

কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরি ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। নিয়মিত কচু শাক খেলে অনেক উপকার মেলে। তবে দিন দিন কচুর চাষাবাদ কমে যাওয়ায় খাদ্য তালিকার অন্যতম এ অনুসঙ্গ সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা থাকছে।

অথচ শৈশবে পাঠ্য বই থেকে জেনেছি কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এটি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। চোখ সম্পর্কিত জটিলতা কমায়। রক্তশূন্যতা দূর করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমন নানান উপকারিতা রয়েছে কচুতে।

কিন্তু এখন বর্তামানে কচু শাকের কোন কদর নেই বলেই চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *